এক কিশোরী মেয়েকে প্রায় দুই মাস ধরে আটকে রেখে তার বাবা ধর্ষণ ও নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই কিশোরীর মা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক স্বামী শরিফুলের বিরুদ্ধে মামলাও করেছেন তিনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের বড়াইগ্রাম পৌর এলাকার শরিফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় সদর উপজেলার হুগুড়িয়া গ্রামের রেখা খাতুনের। তাদের ঘরে জন্ম নেয় এক কন্যা সন্তান। মেয়ে বড় হতে থাকে। ধীরে ধীরে মতিভ্রম হতে থাকে শরিফুলের। সংসার ধর্ম ছেড়ে সন্ন্যাস বেশ ধারণ করে পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়ানো শুরু করেন। এ অবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে রেখা বেগম তার মেয়েকে নিয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। পরে শরিফুলকে তালাক দিয়ে অন্য একজনকে বিয়ে করেন। শরিফুলের পক্ষের মেয়ে থেকে যায় নানার বাড়িতে। নানার বাড়িতেই বড় হতে থাকে সে।
অনিয়মিত ছাত্রী হিসেবে এখন সে দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। এ অবস্থায় গত কোরবানি ঈদের আগে শরিফুল কৌশলে মেয়েকে নানার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর বাড়িতে আটকে রেখে মেয়েকে নিয়মিত ধর্ষণসহ চালাতে থাকেন শারীরিক নির্যাতন। নিজ বাবার নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী কৌশলে বিষয়টি তার নানিকে জানায়। গতকাল সোমবার মা ও নানি গিয়ে শরিফুলের বাড়ি থেকে মেয়েকে উদ্ধার করেন। ওই দিনই বড়াইগ্রাম থানায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন রেখা খাতুন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন শরিফুল।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীলিপ কুমার দাস জানিয়েছেন, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে তার মা মামলা করেছেন সাবেক স্বামী শরিফুলের বিরুদ্ধে। শরিফুলকে আটকের চেষ্টা চলছে।