লক্ষীপুরের রামগঞ্জে বসত বাড়ীর চলাচলের রাস্তা চাওয়ায় বিরোধের জেরে ওই বাড়িতে আসা একজন মেহমানকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
রামগঞ্জের কান্চনপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পূর্ব বিঘা নিলাম বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার এই ঘটনায় রামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বাড়ির জমি সকল অংশিদার মিলেমিশে বসত বাড়ির জায়গা এওয়াজ বা রদবদলের মাধ্যমে সম্মতি পোষন করে ভোগ করে আসছিল। পরবর্তীতে আমিন এনে, এলাকার আরও গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বাড়ির মুরব্বিদের এবং বিচার শালিশের মাধ্যমে সবাই মিলে তিনজনকে বাড়ির তিন স্থানে যাওয়ার সম্মতি পোষণ করে ১৯৯৮ সালে। এরপর বাড়ির ভিতর থেকে তিন ফ্যামিলি তিন স্থানে ত্যাগ করে, পরবর্তীতে বাড়ির মুরব্বিদের এবং জায়গা মাপার আমিন এনে বাড়ি বের হওয়ার রাস্তা পযর্ন্ত বের করে দেওয়া হয়। এরপর কয়েকদিন যাওয়ার পর বাড়ীর এক অংশিদার তা মানতে নারাজ হয়। তবে বাড়ীর ৭ অংশিদার একাত্মতা পোষণ করে রাস্তা নির্মাণের জন্য মাস্টার মো: নুর হোসেন এর পরিবারের সম্মতি পোষন করে। সর্বশেষ ২০২১ সালে এমপি আনোয়ার হোসেনও বাড়ির শরীকদের পাওনা অনুযায়ী রাস্তার জমি ছাড়ার নির্দেশ দেয়। তবে প্রতিপক্ষ মো: আবু তাহের এবং তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তাও মানতে নারাজ।
স্থানীয়রা জানান, এরপর ১নং কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নাছির এর মাধ্যমে কয়েকবার বৈঠকের মাধ্যমে চুড়ান্ত হয়, তাও মানতে নারাজ। তারপর আবার থানায় অভিযোগ করে তাও মানতে নারাজ। সর্বশেষ লক্ষীপুর কোর্টে মামলা করলে কোর্ট বিভিন্ন বিচার বিশ্লেষণ করে ২০২৪ সালে মামলা মাষ্টার মো. নুর হোসন এর পক্ষে রায় দেয়।
মাস্টার মো. নুর হোসেনের পরিবার জানায়, গত ১২ নভেম্বর মো: সাফায়াত হোসেন সজিব আমাদের বাড়িতে (নানা বাড়ি) বেড়াতে আসে। এসময় হঠাৎ করেই তার উপর দা এবং বটি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে হত্যা করার চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে না আসলে তারা হত্যাই করে ফেলত। সে এখনো রামগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আবু তাহেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
রামগঞ্জ থানা সূত্র জানায়, এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত