আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের বন্ধুত্ব ভারত সরকারের সাথে, কোন বিশেষ দল বা ব্যক্তির সঙ্গে নয়।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচন সংঘাতপূর্ণ হবে এমন আশঙ্কা করলেও বাস্তবে তেমনটা হয়নি। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন ছিল শান্তিপূর্ণ। কোন হতাহতের খবর পাইনি। নির্বাচন মোটামুটি স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসের কারণে স্থগিত হওয়া উপজেলাগুলোতে নির্বাচন অনুষ্ঠান ৯ তারিখে শিফট করা হয়েছে। চতুর্থ ধাপে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৩৪ শতাংশের বেশি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ সময় আজিজ, বেনজিরের মতো অসংখ্য আজিজ ও বেনজির আওয়ামী লীগে আছে বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শামসুল হুদা, রকিবুল হুদা, এসপি কহিনুর কার সৃষ্টি? আটজনকে ডিঙিয়ে মঈন ইউ আহমেদকে সেনাপ্রধান কে করেছে? মির্জা ফখরুল সাহেবের এতোটুকু লজ্জা করে না, নিজেরা যা করেছে তার দায় এখন আওয়ামী লীগের উপর চাপাচ্ছে।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, দুদক স্বাধীন। মন্ত্রীরাও কোন দুর্নীতি করলে দুদক তদন্ত ও মামলা করতে পারে। ফখরুল বলেছেন যে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে। কে আন্দোলন করবে? দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বিএনপি! দুর্নীতিবাজ দল-বিএনপি দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে এটা বছরের সেরা কৌতুক।
ইউনূসের মামলা প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ভুক্তভোগীদের মামলায় তার বিচার চলছে। আমাদের দেশের আইন আছে। সে আইন অনুযায়ী ডক্টর ইউনূস বিচার পাবেন। আইনের কোন ব্যত্যয় হবে না। মামলায় তার প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না। তার যে প্রাপ্য, সুষ্ঠু বিচার হবে। তাকে কোনোভাবে অপমান করার দুরভিসন্ধি আমাদের নেই।
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।