বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন নবনিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা পৃথিবীর কোনো দেশের ডাক্তারদের চেয়ে কম মেধাবী না। তাদেরকে যদি পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া যায়, তাহলে তারা বিশ্বমানের চিকৎসা সেবা দিতে পারে।
এজন্য তিনি জোড়া মাথার শিশুর অপারেশনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। বলেন, এই যে জোড়া মাথার বাচ্চা, যদিও সেখানে হাঙ্গেরির চিকিৎসক ছিল, কিন্তু আমরা যারা ইনভলব ছিলাম, আমরা জানি- রাত ২টার সময় সেই রোগীকে কিভাবে এনেস্থেশিয়া দেওয়া হলো। আমার দেশের চিকিৎসকরাই কিন্তু টিউবটা দিয়েছিল, হাঙ্গেরির ওরা পারে নাই। সুতরাং বাংলাদেশের চিকিৎসকদের স্কিল নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আমরা যদি প্রপার ফ্যাসিলিটি দেই তাহলে বাংলাদেশের চিকিৎসা বিশ্বে সুনাম অর্জন করবে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে নবনিযুক্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্তলাল সেন এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ভুটানের মেয়েটার চিকিৎসা ভুটানেও ফেইল হয়েছে। কিন্তু ভুটান সরকার আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাকে বলেছে, তাদের রাজার সাথে আমরা দেখা করেছি, তিনিও আমাদেরকে বলেছেন। এই কাজটা যদি আমরা করতে পারি, এরপর নেপাল থেকে আসবে, তারপর অন্যান্য দেশ থেকে রোগীরা বাংলাদেশে আসবে। এটাই কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সবচেয়ে বড় ইচ্ছা, যে- তোমরা এমন একটি হাসপাতাল তৈরি করো, যাতে মানুষ সিঙ্গাপুরে না যায়, বরং সিঙ্গাপুর থেকে যেন রোগী এখানে নিয়ে আসে।
নেপালের প্লেন ক্রাশে এক রোগীর চিকিৎসায় নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেন, নেপালের ক্রাশে এক রোগীর পা কেটে ফেলার বিষয়ে আমরা মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু রোগী কোনভাবেই পা কাটবে না। তিনি সিঙ্গাপুরে যাবেন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি জানালাম রোগী এখানে পা কাটবে না সিঙ্গাপুরে যেতে চায়। তিনি বললেন যেতে দাও। পরে সিঙ্গাপুরে ওই পা তো কাটলোই অন্য পা’ও কেটে ফেলেছে। পরে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বললেন, দেখেছো এখানে কাটলে তোমাদের দোষ হতো। এখন সিঙ্গাপুরে তো ফেরেশতা আছে সেখানে দুই পা কাটলেও দোষ নেই।
এসময় অবশ্য ডাক্তারদের কড়া বার্তাও দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করব ডাক্তার নার্সদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে। তবে তাদেরকেও দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে।