ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন বিদেশি কূটনীতিকরা যেভাবে বিভিন্ন প্রার্থীর বাড়িতে গেছেন তা কোনভাবেই সমীচীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন: স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোন প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে তাকে সহানুভূতি জানানো বিদেশি কূটনীতিকদের কাজ নয়, এটি কূটনীতির অংশও নয়। আমি মনে করি এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে ইডেন ইংলিশ স্কুলের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন: ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকরা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন তা কূটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে যখন জাতীয় নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় তখন সেখানকার বিদেশি কূটনীতিকরা এভাবে কথা বলেন না, অন্যান্য দেশেও বলেন না।
ড. হাছান বলেন: আমাদের দেশে আমরা সব সময় দেখতে পাই বিদেশি কূটনীতিকদের এ নিয়ে আগ্রহটা বেড়ে যায়। এর জন্য অবশ্য আমাদেরও কেউ-কেউ দায়ী। আপনারা জানেন, কোনো কিছু হলেই বিএনপি দেশে বিদেশি কূটনীতিবিদদের ডেকে নালিশ করে। নালিশ তো করবে জনগণের কাছে, দেশের ভোটারের কাছে। কিন্তু তারা নালিশ করে বিদেশি কূটনীতিবদদের কাছে। এটি কোনভাবেই সমীচিন নয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন: নির্বাচন কমিশন যেভাবে বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণ কার্ড দিয়েছে এবং তারমধ্যে আবার রয়েছেন ২৮ জন বাংলাদেশি অর্থাৎ বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী। এটি কিভাবে দিয়েছে, কেন দিয়েছে, সে নিয়ে যদিও গতকাল নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, কমিশনের এ ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন: বিদেশী পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণ করবেন, কিন্তু এখানে কোন বিদেশি পর্যবেক্ষক আসেনি। স্থানীয়ভাবে যারা কূটনীতির কাজ করতে এসেছেন, তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হয়েছে। আবার সেখানে সেই দূতাবাসে কর্মরত ২৮ জন বাংলাদেশিকে পর্যবেক্ষণ কার্ড দেওয়া হলো। এটি কিভাবে দিল, কেন দিল এটি আমার কাছে বোধগম্য নয়। আমার মনে হয়, এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের আরও বেশি সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত