প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ৯ দাবি

উপদেষ্টা পরিষদ নির্ধারণে বিশেষ কমিটি গঠনসহ ৯ দফা দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলাদেশ ২.০ এর সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবস্থান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

উপদেষ্টা পরিষদ নির্ধারণে বিশেষ কমিটিতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, সাত কলেজ ও মাদ্রাসার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে, যেন কারো ইচ্ছামতো উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হয়।

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে আন্দোলনে হতাহতদের পরিবারের পুনর্বাসন করা, আহতদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনা নিরসন করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাজার মনিটরিংসহ দেশের সব পর্যায়ে সিন্ডিকেট প্রথা বিলুপ্তির জন্য ছাত্রদের অংশীদারত্বে পেট্রোল টিম গঠন করা, গণহত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া, সংবিধান পুনর্লিখন ও সংস্কার করা, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৫ শতাংশ আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহার করা, কৃষিনির্ভর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের একজন বাংলাদেশি কৃষিবিদ বিজ্ঞানীকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া। এ ছাড়া সব সংস্কার কমিশনে জনমত জরিপের মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে জনসাধারণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার নিশ্চিতের দাবিও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী হাসনাত, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জাকের হোসেন মনজুর, গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জানে আলম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী হৃদয় স্বজন প্রমুখ।