মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশের শ্রমিকসহ প্রবাসীরা যাতে কোনো ধরনের হয়রানি ও প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য দেশটির সরকার ‘ই-লকার’ চালু করবে। ই-লকারে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশিদের বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) কুয়ালালামপুরে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা বিন জাইনুদিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। বৈঠকে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিফেন্স সার্ভিস এশিয়া (ডিএসএ) উপলক্ষে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকে মালয়েশিয়া সফরে আমন্ত্রণ জানান। আমন্ত্রণে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সভায় মিলিত হন।
ই-লকারের বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভায় বিস্তারিত উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশিদের তথ্যসমূহ ডাটাবেজ আকারে সন্নিবেশ করার জন্য ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার অনেক কাজ করেছে। এনআইডি, পাসপোর্টসহ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই ডাটাবেজ সংরক্ষণ করা হয়। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি বা মালয়েশিয়ায় কেউ যাতে কোনভাবে প্রতারিত না হয় সে লক্ষ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেন। এক্ষেত্রে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের জন্য মালয়েশিয়া প্রস্তাব করেন। এছাড়া মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের দক্ষতা ও যোগ্যতা সম্পর্কে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেন।
মালয়েশিয়ায় অনেক নিরাপত্তাকর্মী প্রয়োজন হবে বিদায় বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী আনা হবে বলে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
বাংলাদেশ আশ্রয়গ্রহণকারী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে দ্রুত ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকবে মর্মে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ জামান, মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।