
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভূরাজনৈতিক কারণেই চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলাটা জরুরি বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসল।
রোববার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফখরুল বলেন, ‘ড. ইউনূসের চীন সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক বিএনপি। ভূরাজনৈতিক কারণেই চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলাটা জরুরি।’
চার দিনের সফরে ২৬ মার্চ চীনে পৌঁছান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের হাইনানের কিয়ংহাই বোয়াও বিমানবন্দরে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনাসহ উষ্ণ অভ্যর্থনা দেয় দেশটির সরকার। পরদিন ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ) বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
২৮ মার্চ বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা। এদিন বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
এরপর চীনা ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে ইনভেস্টমেন্ট ডায়ালগে অংশ নেন তিনি। একই স্থানে টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ টু পয়েন্ট জিরো উৎপাদন ও বাজার সুযোগ, সামাজিক ব্যবসা ও যুব উদ্যোক্তা এবং তিন শূন্যের বিশ্ব-এই তিনটি বিষয়ের ওপর তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় যোগ দেন ড. ইউনূস।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চীনের স্টেট কাউন্সিলের নির্বাহী উপ-প্রধানমন্ত্রী ডিং জুয়েশিয়াং, চীনের পানি সম্পদ মন্ত্রী লি গোইয়িং, রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি ওভারচুক, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়ার (বিএফএ) চেয়ারম্যান বান কি-মুন সাক্ষাৎ করেছেন।
সফর শেষে সফরসঙ্গীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকায় পৌঁছান।