প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে: শেখ হেলাল

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, বিএনপি হরতাল অবরোধের নামে দেশব্যাপী নাশকতা করছে। ওরা চায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অদম্য অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করতে। ওদের এই ষড়যন্ত্রকে কোন অবস্থাতেই পাত্তা দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, বিএনপি দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে। ওদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনকে বানচাল করতে ওদের যত ষড়যন্ত্র। ১১ নভেম্বর সার্কিট হাউসের জনসভার মধ্যদিয়ে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, যাদের জন্মই সেনানিবাসে তারা কিভাবে গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের কদর বুঝবে। সেকারনেই ওরা মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করছে। আমাদের সকলকে ছোটখাটো ভুলত্রুটিকে ভুলে গিয়ে এক হয়ে শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের জন্য বাংলার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হলে সার্কিট হাউসের জনসভা সফল করতে হবে। মনে রাখতে হবে-শেখ হাসিনা দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে সেজন্যে আমাদের একবার হলেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আর সেজন্যেই ১১ নভেম্বরে সার্কিট হাউসের জনসভায় জনসমুদ্রে পরিণত করে শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে হবে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বিকাল ৪টায় খুলনা সদর থানা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, মো. মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, অধ্যা. রুনু ইকবার বিথার, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, নূরীনা রহমান বিউটি, কাউন্সিলর রফিউদ্দিন আহমেদ রফিক, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, ফেরদৌস হোসেন লাবু সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সদর থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, মোঃ জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. আইয়ুব আলী, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, ফেরদৌস আলম চাঁন ফরাজী, চৌধুরী মিনাহাজ উজ জামান সজল, এ্যাড. রজব আলী সরদার। বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন, শাসসুজ্জামান মিয়া স্বপন, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, সুলতানা রহমান শিল্পী, রনজিত কুমার ঘোষ, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব মিয়া, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, মঈনুল ইসলাম নাসির, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, মুন্সি সেলিম হোসেন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, মো. শিহাব উদ্দিন, পারভীন ইলিয়াস, নুরিনা রহমান বিউটি, করবি, বিথি, মোস্তারি চিশতি, নিপা, নাসরিন ইসলাম, কাউন্সিলর এস এম রফিউদ্দিন আহমেদ, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, এ্যাড. এনামুল হক, এ্যাড. কে এম ইকবাল হোসেন, এ্যাড. এম এম সাজ্জাদ আলী, মাহমুদ হাসান তাজু, রেজওয়ানা প্রধান, রেখা খানম, রোকেয়া রহমান, কহিনুর বেগম, সবনাম মুস্তারী, মাসুদা খানম পাখি, ফেরদৌসি আলম রিতা, শিরিনা হান্নান, শিউলি আক্তার, বিউটি বেগম, ফেরদৌসি সাথী, খাদিজা কবির তুলি, শামীম আরা পপি, কামরুন নাহার কাজল, এ্যাড. শাম্মী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

সভায় সার্কিট হাউজের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।