প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্কে বিশ্বাসী বাংলাদেশ?

প্রতিবেশী দেশের সাথে সংঘাত নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাস করে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইন্ডিয়া ইকোনোমিক সামিটের সমাপনী অধিবেশনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় তিনি বলেন: ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা মাথায় রেখে শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া গড়তে সব দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে।

এর আগে একইদিন নয়াদিল্লিতে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়া প্রসঙ্গে হেসে হেসে হিন্দিতে বলেন: হঠাৎ আপনারা বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠানো বন্ধ করে দিয়ে, আমাদের মুশকিলে ফেলে দিয়েছেন। আগামীতে যদি এমন কিছু করেন, তা হলে আমাদের আগে জানিয়ে দেবেন। (আচানাক আপনে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ক্যার দিয়া, হামারে লিয়ে এ মুশকিল বান গ্যায়া। তো আগে সে আগার কিছিবি তারাপ ত্র্যাসি কারনা হ্য তো হামে প্যাহেলেছে বাতা দেনা।)

এ সময় তিনি বাংলাদেশ দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে বলেন: বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। দেশের জনশক্তি বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে সহযোগিতা করে থাকে।

তিনি আরও বলেন: বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির উন্নয়নশীল দেশ। এ সময় স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

ভারত- বাংলাদেশ বাণিজ্য ফোরামে বাংলাদেশ ও ভারতের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা সেখানে উপস্থিত আছেন। এদিন বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতের দুটি ব্যবসায়িক গ্রুপের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।