পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে দাবি করেছে বিএনপি।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপির কোনো এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ভোটারদেরও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। শুধুমাত্র আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কেন্দ্রে ঢুকে ভোট দিয়েছে।’
রাজধানী নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
পাবনা-৪ আসন উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ আজ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগের শামসুর রহমান শরীফ ডিলুর মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
রিজভীর দাবি, ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে নির্বাচনের দুই দিন আগে থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘আটঘরিয়া ও ঈশ্বরদী থানায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করে নির্বাচনী এলাকা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা জানান, এসব মামলায় দলটির প্রায় ২০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া দলীয় নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের সাথে বিএনপির দহরম-মহরম বহু পুরনো বলে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের করা মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রিজভী।
তিনি বলেন, হঠাৎ করে তথ্যমন্ত্রীর এ ধরনের উদ্ভট বক্তব্য জনগণের মনে ঘোরতর সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। মনে হয় তার মন্ত্রীত্ব এখন টালমাটাল অবস্থায় আছে।
রিজভী বলেন, আওয়ামী মন্ত্রীদের বিচারবুদ্ধি নিয়ে জনগণের মাঝে নানা কথা প্রচলিত আছে। তারা যখন খুব বিচলিত ও বেকায়দায় পড়েন তখনই তারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার করেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী মন্ত্রীদের কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে আওয়ামী লীগের মুরুব্বি পরিবর্তন নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। সুতরাং সব কুল হারিয়ে সরকার মনে হয় স্বস্তিতে নেই। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা এড়াতেই তথ্যমন্ত্রী বিদেশে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন।