পশ্চিমবঙ্গে চলছে বিজেপির ডাকা ধর্মঘট

আরজি কর ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গে ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে বিজেপি।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ট্রেন, বাস চলছে না অনেক জায়গায়। কাজে বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ‘সাধারণ ধর্মঘট’।

মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে কাঁদানে গ্যাস, জলকামান দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে পুলিশ। এরপরেই সরাসরি শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় বিজেপি। ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের দমনপীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার রাজ্যব্যাপী ১২ ঘণ্টা আন্দোলনের ডাক দেয় তারা।

মঙ্গলবার দুপুর সংবাদ সম্মেলনে সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আগামী পরশু থেকে আমরা ধরনা শুরু করব। এ ছাড়া ছাত্রসমাজকে সব রকম আইনি ও মেডিকেল সাহায্য দেওয়ার জন্য আজ থেকে পুনরায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করছি আমরা। এখানে ফোন করে আপনারা যে কোনো ধরনের আইনি সহায়তা কিংবা পরামর্শ চাইতে পারবেন। আসুন আগামী ৩০ আগস্ট আমাদের মহিলা মোর্চার ডাকে সব নারী, সব মানুষ পথে নামুন। এই আন্দোলন বিজেপির নয়, এটা সমাজের আন্দোলন।’

পশ্চিমবঙ্গ সরকার জনগণকে বিজেপির ধর্মঘটে সাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। মমতা ব্যানার্জির প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বুধবার সরকার কোনো ধর্মঘটের অনুমতি দেবে না। আমরা জনগণকে এতে অংশগ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ করছি। স্বাভাবিক জীবন যাতে প্রভাবিত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছে, সমস্ত সরকারি অফিস খোলা থাকবে এবং সমস্ত কর্মচারীকে ২৮ আগস্ট ডিউটির জন্য রিপোর্ট করতে হবে বা তাদের অননুমোদিত অনুপস্থিতির জন্য কারণ দেখাতে হবে। তবে যারা জরুরি অবস্থার মধ্যে রয়েছে বা ছুটিতে আছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট এক প্রশিক্ষণার্থী নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ভারতজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তাররা দেশের অনেক অংশে রোগীদের দেখতে অস্বীকার করেছে। তাঁরা ভুক্তভোগীর বিচার এবং হাসপাতালে নারীদের নিরাপত্তা দাবি করছে।