একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আশপাশ এলাকার আবাসিক হোটেল ও মেসে শনিবার রাত থেকে তল্লাশি করা হবে। দুষ্কৃতকারীরা যেন নাশকতামূলক কোনো কাজ করতে পারে, সে জন্য এই তল্লাশি চালানো হবে।
শহীদ মিনারের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে কোনো ঝুঁকি নেই। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অথবা তাদের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আসবেন কি না, তা নিশ্চিত নয়। তবে তাঁরা আসবেন ধরে নিয়েই নিরাপত্তাব্যবস্থা সাজানো হচ্ছে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর স্পিকারসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তারপর তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
কী ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারকেন্দ্রিক চারদিকের রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। চেকপোস্টের ভেতরে ও বাইরে পুরো এলাকা সিসিটিভির অধীন থাকবে। পলাশি ক্রসিং থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের তল্লাশির পর ঢুকতে দেওয়া হবে। সেখানে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে। এসব পরীক্ষা করেই তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে।
বিদেশি কূটনৈতিকরাও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি করোনার কারণে সরকার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেসব স্বাস্থ্যবিধি জারি করেছে, তা মেনে চলার অনুরোধ জানান।