পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘দেশের সবগুলো নদী শাসন করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। ড্রেজিং করে নদী ছোট করে কৃষি জমি বাড়ানো হবে। এতে অনেক টাকা দরকার। এজন্য বিদেশি ডোনারদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেক দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন।’
শনিবার দুপুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন, উজানে বৃষ্টি হলে তা নেমে এসে আমাদের দেশে বন্যার সৃষ্টি হয়। নদী ভাঙনের ফলে পানির সাথে পলি নেমে আসে। দেশে বছরে এক বিলিয়ন পলি জমে। প্রতি বছর নদী ভরাট হয়ে চর জেগে উঠছে এবং নদীও গতিপথ পরিবর্তন করছে। প্রতি বছর ভাঙন রোধে বাঁধ দেয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ ভালো করতে গতিটা কিছু ধীরে হয়। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে কিছু সময় লাগবে।
তিস্তাপাড়ের মানুষকে ধৈর্যধারনের আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিস্তা পাড়ের মানুষের কষ্ট প্রধানমন্ত্রী বুঝেন। বিগত সরকার নদী শাসনে তেমন কোন টাকা ব্যায় করতে পারে নাই। এতদিনে কাজ শুরু হতো কিন্তু করোনার জন্য সবকিছু পিছিয়ে গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহা-পরিচালক এ এম আমিনুল হক, পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তরাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোষ, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, আদিতমারী ইউএনও মনসুর উদ্দিনসহ প্রমুখ।
পথ সভা শেষে নৌকা যোগে তিস্তার নদী ভাঙন এলাকাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় নদীর বাম তীরে ক্ষতিগ্রস্থ হাজারো মানুষ ব্যানার ফেষ্টুন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। নৌকা থেকে নেমে এসব মানুষকে বাঁধ নির্মানের আশ্বাস দেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী। পরে দিনাজপুরের গৌরিপুর সেচ প্রকল্প পরিদর্শন ও বৃক্ষরোপণ করেন।