প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বাসস এর এক প্রতিবেদনে মিজানুর রহমান খানের ছোট ভাই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এর সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খানের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি মা, স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের নামাজে জানাজা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ডিআরইউ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
পারিবারিক সূত্রে বাসস জানায়, মিজানুর রহমান খানের করোনার নমুনা পরীক্ষায় ২ ডিসেম্বর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। সেখানে সমস্যা বাড়লে গত ১০ ডিসেম্বর তাকে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান খান তার প্রায় ৩ দশকের বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনে দৈনিক যুগান্তরসহ বিভিন্ন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। আইন ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকতায় তার ছিল অসামান্য অভিজ্ঞতা।
বরিশালের বিএম কলেজ থেকে হিসাববিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী মিজানুর রহমান খান তিন দশক ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। সংবিধান ও আইন নিয়ে লেখালেখি করেন। উল্লেখযোগ্য বই সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক, ১৯৭১: আমেরিকার গোপন দলিল।
মিজানুর রহমান খানের মৃত্যুতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী এক বার্তায় গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন।
তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান । নামাজে জানাজায় সদস্যদের শরিক হবার জন্য ডিআরইউ সভাপতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত