রুবেল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও সদর: ঠাকুরগাঁওয়ে দেশি পেঁয়াজের দামে খুশি ক্রেতা, হতাশ এ জেলার কৃষকরা। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কারণে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কম বলছেন চাষীরা।
কৃষি বিভাগ বলছে, উন্নত বীজ সরবরাহ ও ন্যায্য দামের নিশ্চয়তা থাকলে বাড়বে পেঁয়াজের আবাদ, আমদানি নির্ভরতা কমে বাজারও হবে স্থিতিশীল।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। যা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার টন। প্রতি বছরেই পেঁয়াজ চাষ করে প্রায় মৌসুমে লোকসান গুণতে হয় চাষীদের। যে সময়ে ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ ওঠানো শুরু হয় তখনও আমদানি হয়। ফলে পড়ে যায় বাজার দর।
এ অবস্থায় অনেকেই পেঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। কিন্তু গত বছরের লাগামহীন বাজার তাদের আবারও উদ্বুদ্ধ করে পেঁয়াজ চাষে। আমদানি করা পেঁয়াজের সাথে দামে টিকতে না পেরে এবারও লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষীরা।
চাষীরা জানান, আমাদের পোষাবে কীভাবে- যখন আমাদের পেঁয়াজ ওঠে, তখন বিদেশ থেকেও নিয়ে আসা হয়। আবাদ করতে অনেক টাকা-পয়সা লাগে। যখন পেঁয়াজ ওঠানো হয় তখন দাম যায় কমে।
কৃষকদের দাবি, দামের নিশ্চয়তা আর আবাদে প্রণোদনার দেওয়ার।
পেঁয়াজ চাষীরা বলেন, পেঁয়াজ রাখার জন্য যদি সরকার ব্যবস্থা করতো তাহলে আমাদের উপকার হতো। কৃষকদের দাবির সাথে একমত কৃষি বিভাগও।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাফ হোসেন প্রিয়দেশ নিউজ কে বলেন, পেঁয়াজের সংরক্ষণ এবং বীজের সহজ লভ্যতা, বিভিন্ন দিক যদি আলোকপাত করতে পারি তাহলে আমরা আরও সুফল পাবো বলে আশা করি