১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের হাতে পরিকল্পিতভাবে প্রাণ হারানো বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে জাতি আজ মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করছে।
এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
আজ সকালে রাষ্ট্রপ্রতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৭টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ চৌধুরী মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং সর্বস্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন সেমিনার, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
১৯৭১ সালের এই দিনে দেশের স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, শিল্পী, ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।
পরে তাদের লাশ রায়েরবাজার, মিরপুরসহ রাজধানীর আরও কয়েকটি বধ্যভূমিতে ফেলে দেয়া হয়।
আসন্ন পরাজয় বুঝতে পেরে, পাকিস্তানি বাহিনী এবং স্থানীয় সহযোগী যেমন আল-বদর, আল-শামস এবং রাজাকার বাহিনী দেশের বুদ্ধিজীবীদের ধ্বংস করতে এবং উদীয়মান বাংলাদেশকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করার জন্য ঠান্ডা মাথায় এই গণহত্যা চালিয়েছিল।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ডা. ফজলে রাব্বি, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, নিজামউদ্দিন আহদমদ সহ আরও অনেকে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত