নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেছেন, ব্যক্তি নয়, প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনকে নানা ইস্যুতে বিতর্কিত করতে বাইরের লোকের সাথে ঘরের কেউ জড়িত কিনা সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন বেগম কবিতা খানম।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকতে হবে। এমনিতে বললেই হবে না যে, পুলিশ প্রশাসন মাঠ দখল করেছে বা নির্বাচন কমিশনের বিপক্ষে কাজ করছে। আমাদের কাছে এটা সুনির্দিষ্টভাবে আসতে হবে। কাউন্সিলর প্রার্থী একাধিক দাঁড়াচ্ছে, তাদের নিজেদের মধ্যে এ ধরনের সহিংসতাগুলো হচ্ছে।
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ইউপি নির্বাচনে যাতে কোন ধরনের সহিংসতা না হয়, সেজন্য সব ধরনের স্টেপ নির্বাচন কমিশন অবশ্যই নেবে। আমি আগেই বলেছি কোনো মৃত্যুই আমাদের কাছে কাম্য নয়।
নির্বাচন কমিশনের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ৪২ জন নাগরিক সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের যে দাবি করেছেন, সেই সম্পর্কে কবিতা খানম বলেন, এখানে যারাই কাজ করছে তাদের প্রত্যেকেরই ৩০/৩২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা আছে। এই চাকরির জায়গাটা কারোই বিতর্কিত ছিল না। এখন নির্বাচন কমিশনে এসে আমি এ ধরনের একটা বিতর্কিত কাজ করবো, এটা আমি মনে করি যে আমি বিতর্কিত না, এই প্রতিষ্ঠানকে বিতর্কিত করার জন্যই হয়তো এ ধরনের প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আমি এটা কীভাবে বলবো, নির্বাচন কমিশনের কেউ করছে নাকি বাইরের কেউ করছে সেটা আপনারাই বিবেচনা করুন।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মসহ দুর্নীতির অভিযোগ এনে ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সিনিয়র কয়েকজন নেতা নির্বাচন কমিশন নিয়ে এমন বিবৃতির সাথে বিএনপির যোগসূত্র থাকার অভিযোগ করলেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশিষ্ট নাগরিকদের এই বিবৃতির জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করলেন নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত