নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শেষে পরীক্ষামূলক ভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ সম্পন্ন করেছে। এ কূপটি থেকে প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থিত প্রতিদিন ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপটি ২০০০ সালে খনন করা হয়। দীর্ঘ ২১ বছর সেটি থেকে গ্যাস উত্তোলিত হয়েছে। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছর বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা ৭টি কূপের ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪টি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ বাপেক্সকে এবং বাকি ৩টির কাজ দেওয়া বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এই ব্যাপারে গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাঈল মোল্লা জানান, ১৪ নম্বর কূপ থেকে নতুন করে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে এখনও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ফলে পুরোদমে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদন শুরু হবে।
উল্লেখ্য গত ১৯ মার্চ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বাপেক্স। যা চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শেষ হয়। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১৩ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।