তাবলিগ জামাতে দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদি জনতা।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে 'ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা'র ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার মাঠে মুসল্লিদের ওপর হামলা, দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা এবং ইজতেমা মাঠ দখলের পাঁয়তারার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা সাদসহ তার অনুসারীদের নিষিদ্ধ করতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, ভারতীয় নাগরিক সাদ কোনো আলেম না। তিনি আমেরিকা ও ইহুদিদের ইন্ধনে বাংলাদেশের তাবলিগ জামায়াতকে বিভক্ত করতে কাজ করছেন। ভারতীয় মুসলিম বিদ্বেষীদের হয়ে ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে হামলা চালিয়ে দেশের শত শত আলেমকে রক্তাক্ত করে। এমনকি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব, যিনি দেশের সর্বমহলের শ্রদ্ধেয় আলেম, সেই মুফতি আব্দুল মালেকসহ দেশের শীর্ষ আলেমদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা করেছে।
বক্তারা বলেন, এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয় তাবলিগ জামায়াতের শত বছরের ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করতেই সাদপন্থীরা কাজ করছে। বাংলাদেশের জনগণ এই ষড়যন্ত্র কোনো দিন মেনে নেবে না। তাই আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আগামী ২৪ ঘণ্টা সময় দিতে চাই। এই সময়ের মধ্যে তাবলিগ জামায়াত নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ও হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। আর না হলে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে।
বক্তারা আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। কিন্তু সাদপন্থীদের যদি সঠিক বিচার না করা হয় তাহলে আমরা কঠিন আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো। এই সাদপন্থীদের তাবলিগ জামায়াতের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। ২০১৮ সালে তারা ইজতেমা মাঠে জঙ্গিদের মতো শোডাউন করেছে। তারা বর্তমানে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদীদের মদদে অশান্তি সৃষ্টি করতে কাজ করছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত