ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় পল্লী বিদ্যুতের ১৩ লাখ ৬২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১ হাজার ১২১ স্থানে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ২০৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি হেলে পড়েছে। মোট ৪৬টি সাব-স্টেশনের আওতায় এসব গ্রাহক বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন।
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৭টি সাব-স্টেশনের আওতায় ৪ লাখ ৩৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে ৪ লাখ ৩২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। এখানকার ১৬টি ট্রান্সমিটারের ক্ষতি হয়েছে। ৮টি পোল হেলে পড়েছে। ১০০টি স্পটে বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটের ১৭টি সাব-স্টেশনের আওতায় ৪ লাখ ৮৫ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এর মধ্যে ৪ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। কেবল মোংলা ইপিজেড ও বিসিকের ৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। এ জেলার ১৪টি পোল হেলে পড়েছে। ৪০টি ট্রান্সমিটারের ক্ষতি হয়েছে। ৪০০ স্পটে বিদ্যুৎ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৪০০ মিটার বৃষ্টির পানিতে ক্ষতি হয়েছে।
সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম জিয়াউর রহমান বলেন, এ জেলার ১২টি সাব-স্টেশনের আওতায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীনতায় রয়েছে। ৮৫টি খুঁটি ও ৯২টি পোল ক্ষতি হয়েছে। ৬২১টি স্পটে বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যা হয়েছে।
খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জিএম জিল্লুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতের পর পরিবেশ স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ২৮ মে ভোর থেকেই কর্মীরা মাঠে নেমে পড়বেন। আশা করছি দুপুর ১২টার মধ্যে বৈদ্যুতিক লাইন সচল করা সম্ভব হবে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনায় ১৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা ২৭ মে রাত পর্যন্ত চলমান ছিল। ২৮ মে সকাল থেকে আকাশ পরিচ্ছন্ন হতে পারে।