ঘূর্ণিঝড় হামুন: বাউফলে ১৪০টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর আঘাতে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি এড়াতে ১৪০টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুতসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব প্রস্তুতি নেয়া হয়।

এদিকে হামুনের প্রভাবে মঙ্গলবার সকাল থেকে বাউফল উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি ঘুঁড়ি বৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে বৃষ্টি। তবে দিনভর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সকাল থেকে তেঁতুলিয়া নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে নদী কিছুটা উত্তাল হতে থাকে।

উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় উপজেলায় ১৪০টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, আলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিস টিম, সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্ট টিম প্রস্তুত রয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাজিব বিশ্বাস জানান, ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পর উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন পর্যেিয়র জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ দুর্য়োগ ব্যবস্থপনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে ইউএনও’র সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

কালাইয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ জানান, তার ইউনিয়নে ১৭টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে শুকনা খাবার, পানি, লাইটের ব্যবস্থা রয়েছে। মাইকিং করে জনসাধারনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেশি হুমকি থাকেন নদী বেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দারা। ওই ইউনিয়নে পর্যাপ্ত সাইক্লোন সেল্টার না থাকায় জান মালের বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে। চন্দ্রদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক জানান, চন্দ্রদ্বীপের প্রায় ২২ হাজার মানুষের জন্য মাত্র ৫টি সাইক্লোন সেল্টার রয়েছে। চর ব্যারেটসহ একাধিক চরে সাইক্লোন সেল্টার নেই। এতে জান-মালের ক্ষতির আশঙ্কা বেশি থাকে।

সিপিপি সদস্য মো. মঞ্জুর আলম জানান, কালাইয়া ও চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নে সিপিপি টিমের ৩৬০ জন সদস্য কাজ করছেন। ঘূর্ণিজঝড় মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় করে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. বশির গাজী বলেন, ‘ হামুন মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে খোঁজ খবর রাখছি। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। যাতে জান মালের ক্ষয় ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।