ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এক গ্রাহকের করা প্রতারণার মামলায় প্রমাণ মিললে গ্রেপ্তার হতে পারেন অভিনয়শিল্পী তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়া।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান আজ শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘ধানমন্ডি থানার মামলার কপি এসেছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত সাপেক্ষে তথ্য-প্রমাণ পেলে যে কেউ গ্রেপ্তার হতে পারেন। আমরা তদন্ত করছি। তদন্তে অগ্রগতি রয়েছে।’
মামলার তদারক কর্মকর্তা রমনা বিভাগের (ধানমন্ডি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) ইহসানুল ফেরদৌস বলেন, নিয়মিত মামলা হিসেবে আদালতের নির্দেশে তদন্ত চলছে। বেশ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯ জনকে। ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা ছাড়াও মামলায় ৫ নম্বর আসামি করা হয়েছে সংগীতশিল্পী তাহসান রহমান খানকে। ৮ ও ৯ নম্বর আসামি করা হয়েছে অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলাকে।
৪ ডিসেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তাহসান, মিথিলা, শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন ইভ্যালির এক গ্রাহক সাদ স্যাম রহমান।
সাদ স্যাম রহমানের মামলায় তাহসান, মিথিলা, শবনমসহ আসামি করা হয়েছে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েসকে।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির শুভেচ্ছাদূত ছিলেন তাহসান। মিথিলা ছিলেন ইভ্যালির ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইলের শুভেচ্ছাদূত। শবনম ফারিয়া প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা ছিলেন। তারা ইভ্যালির প্রতারণায় সহযোগিতা করেছেন বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে।