গণঅধিকার পরিষদের সভাপতিসহ ৬ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের মারধরের অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূরসহ ৪ নেতার বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মামলা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণঅধিকার পরিষদের ৪ নেতার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম হাওলাদার বাদী হয়ে একটি এবং জেলা কমিটির সদস্য ও জাতীয় নাগরিক পার্টির শেখ সাকিব আহমেদ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- নুরুল হক নূর, গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসকে রাশেদ, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জনি ও তাইজুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ শেখ রুবেল ও হিরোন।

নাঈম হাওলাদারের মামলায় গত ১৮ মার্চ নগরীর শান্তিধাম মোড়ে পঞ্চবিথী ক্লাবের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে শেখ সাকিব আহমেদের মামলায় তাকে মারধর ও জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মাহফিলের ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ মার্চ গণ অধিকার পরিষদের নেতা এসকে রাশেদ বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা কমিটির সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন ও মহররম মাহীম, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক শেখ রাফসান জানি ও কেন্দ্রীয় সদস্য রুমি রহমানের বিরুদ্ধে মামলা
করেছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়য় সূত্রে জানা গেছে, নগরীর শান্তিধাম মোড়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের বরাদ্দ দেয়া ভবনে পঞ্চবীথি ক্রীড়া চক্র নামে একটি ক্লাব ছিল। গত ২৭ জানুয়ারি ভবনটি দখল করে গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করা হয়। গত ১৮ মার্চ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা তাদেরকে উচ্ছেদ করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ ব্যাপারে খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম জানান, দুই পক্ষই পৃথক মামলা করেছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে