খোসাসহ আলু না খেয়ে যেসব উপকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন

তরকারির সঙ্গে আলু না হলে ঠিক জমে না। প্রায় সব তরকারি, বিরিয়ানি এমনকি অন্যান্য খাবারেও অনেকেই আলু খেতে পছন্দ করেন। তবে সেসব খাবারে খোসা ছাড়ানো আলু ব্যবহার করা হয়। আর এতে অনেক উপকার থেকে বঞ্চিত হতে হয় বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। কেননা আলুর খোসার রয়েছে একাধিক ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই সব উপাদান একাধিক উপকার করে। বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্ত রাখে।

খোসাসহ আলু খেলে যেসব উপকার পাবেন:

ইমিউনিটি বাড়বে 
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে গেলে মানুষ অল্পতেই অসুস্থ হয়ে যায়। জ্বর, সর্দি, কাশিতেও ভুগতে থাকে। তাই ইমিউনিটি বাড়ানো উচিত। আর ইমিউনিটি বাড়া আলুর খোসার সাহায্য নিতে পারেন। কারণ, এতে রয়েছে ভরপুর ভিটামিন সি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। আর এসব উপাদান ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সহজে কাবু করতে পারে না।

কোলেস্টেরল কমায় 
হাই কোলেস্টেরলে ভুক্তভোগীরা নিয়মিত খোসাসহ আলু খেতে পারেন। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনলের ভাণ্ডার যা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে থাকা ফাইবার খাবারে উপস্থিত কোলেস্টেরলকে অন্ত্রে বেঁধে ফেলে। তার পর মলের মাধ্যমে বের করে দেয়।

ক্যানসার দূরে রাখে
যদি নিয়মিত খোসা সমেত আলু খান, তাহলে ক্যানসার কাছে ঘেষতে পারবে না। কারণ, এতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড। আর এই অ্যাসিড ক্যানসারের থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। তাই আজ থেকেই খোসাসহ আলু খাওয়া শুরু করুন।

হার্টের জন্য উপকারী 
এখন কম বয়সেই অনেকে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে একটু সাবধান হলেই সুস্থ থাকা যায়। এজন্য প্রথমে বাইরের খাবার খাওয়া ছাড়তে হবে। তার পরিবর্তে খোসাসহ আলু খাওয়া শুরু করে দিন। কেননা, এতে রয়েছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান প্রেশার কমায়। আলুর খোসায় থাকা ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে সুস্থ থাকে হার্ট।

হাড় শক্ত হয়
আলুর খোসায় রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, জিঙ্কের মতো খনিজ। আর এই সমস্ত খনিজ হাড়ের জোর বাড়ায়। অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে।