খুলনায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব দূর্গা পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন

শাহাদাত হোসেন নোবেল, (খুলনা):

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা এবার ৯ অক্টোবর ২০২৪ইং থেকে শুরু হচ্ছে। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশম দিন পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে দুর্গোৎসব। জাঁকজমকপূর্ণভাবে আগামী ১৩ অক্টোবর শেষ হবে বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে। এ লক্ষ্য এবার খুলনায় ৯৯১টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন চলছে।
পূজাকে কেন্দ্র করে মণ্ডপে মণ্ডপে শিল্পীরা সাজিয়ে তুলছেন প্রতিমা।বেশিরভাগ মণ্ডপে কাজ শেষ।দুর্গোৎসবকে ঘিরে মণ্ডপ ও প্রতিমা নির্মাণ স্থানে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তাসহ আলোকসজ্জার সহ প্রায় সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষ। তবে বিরামহীন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।মণ্ডপগুলোতে হবে পূজার সকল শাস্ত্রীয় রীতি ও আচার পালন। ঘুরে ঘুরে মণ্ডপগুলোতে পূজা পালন করবেন দেবী ভক্তরা । নিজেদের কেনাকাটাও তাই ইতিমধ্যে গুছিয়ে ফেলেছেন সকলে। এখন শুধু মাহেন্দ্রক্ষণের প্রতীক্ষা।
খুলনা জেলার ৯৯১টি পূজামণ্ডপের মধ্যে মহানগরে ১০১, বটিয়াঘাটায় ১১৩, ডুমুরিয়ায় ২১৪, তেরখাদায় ১০৭, পাইকগাছায় ১৫৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া দাকোপে ৮৪, দিঘলিয়ায় ৬৩, ফুলতলায় ৩৪, রূপসায় ৭৪ ও কয়রা উপজেলায় ৪৬টি মণ্ডপে পূজা হবে।
খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুমার কুন্ডু, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা মহানগর, জেলা ও উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পূজা শুরুর পূর্ব হতে যৌথ বাহিনীর টহল বৃদ্ধির অনুরোধ জানিয়ে তারা।

খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন জানান, প্রশাসন ও স্থানীয়দের সঙ্গে চমৎকারভাবে সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আনন্দের সঙ্গে যাতে পূজা উদযাপিত হতে পারে তার জন্য পুলিশ টহল বৃদ্ধি করা হবে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, দুর্গাপূজা প্রস্তুতিকাল, চলাকালে ও প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ সবোর্চ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নগরীর প্রতিটা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। প্রতিটা পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনি পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।
যেকোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ এর মাধ্যমে অথবা সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।