কোরবানীর পশু কিনতে হাটে গেলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য সরকার এবার হাটে গিয়ে পশু কেনা নিরুৎসাহিত করছে। তাই বলে কি কোরবানী বন্ধ থাকবে? না। বরং অনলাইনে অর্ডার করলে বাসায় যদি গরু পৌঁছে যায় এবং বাসায় গরু পৌঁছার পর টাকা পরিশোধের সুযোগ থাকে, তাহলে কেমন হয়? আর একইসঙ্গে রাজধানীতে যদি মাত্র একভাগ কোরবান দেওয়ার সুযোগ থোকে, তাহলে তো সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।
করোনা মহামারীর এই সময়ে সংক্রমণ প্রতিরোধের কথা বিবেচনা করে ওভেন্ডা অনলাইন শপিং নিয়ে এসেছে এমনই অভূতপূর্ব সুযোগ।
ওভেন্ডা অনলাইন শপিংয়ের সুলতান আহমেদ বলেন, করোনাকালে পশুর হাটে গেলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই বলে তো মুসলমানরা কোরবান না দিয়ে থাকবে না। এজন্য অনলাইন মাধ্যমে কেনাকাটা করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ওভেন্ডা অনলাইন শপিং থেকে গরু অর্ডার করলে দেশব্যাপী হোম ডেলিভারির মাধ্যমে আমরা বাসায় পৌঁছে দেব। এজন্য আমাদের স্টকে আছে গেরস্থের তিন মণি, ৫ মণি ও ২০ মণি গরু। বাসায় গরু বুঝে পেলে টাকা পরিশোধ।
সুলতান আহমেদ বলেন, করোনা সংকটের কালে ঢাকায় কোরবানীর আরও একটি সুবিধা নিয়ে এসেছি আমরা। এটা হলো অনেকেই পুরো একটি গরু কেনার ঝামেলায় যেতে চান না। বরং একভাগ কোরবানী দিতে চান অনেকেই। কিন্তু রাজধানীতে এটা সবসময় হয়ে ওঠে না। কিন্তু আমরা সেই সুযোগ নিয়ে এসেছি। একভাগ কোরবানী দিতে পারবেন রাজধানীর যে কেউ। এক্ষেত্রে একটি গরু সাত ভাগে কোরবান দেওয়া হবে।
কোরবানীর ভাগের ক্ষেত্রে ইসলামের ধর্মীয় বিধান পরিপূর্ণভাবে মানা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোরবানীর পুরো বিষয়টি ধর্মীয় বিধান। এখানে ধর্মীয় নিয়ম না মানার কোনো সুযোগ নেই। প্রতিটি গরু সাত জনের নাম ধরে ধরে অভিজ্ঞ আলেম/হুজুর দ্বারা সম্পূর্ণ ধর্মীয় বিধান মেনে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানী দেওয়া হবে। একেবারে বাড়ির দরজায় যেভাবে কোরবানী দেওয়া হয়, ঠিক সেভাবে। যিনি ভাগে কোরবান দিচ্ছেন তিনি চাইলে সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন। আর তিনি থাকতে না পারলেও সমস্যা নেই। কোরবান দেওয়ার পর অভিজ্ঞ কসাই দ্বারা মাংস প্রসেসিং করে সবার ভাগের মাংস যার যার বাসায় হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে। এখানে কোনো অস্বচ্ছতার সুযোগ নেই।
সুলতান আহমেদ বলেন, আমরা হজের গিয়ে কোরবানীর বিষয়টা দেখতে পারি। সেখানেও কিন্তু যেখানে সেখানে কোরবান দেওয়ার সুযোগ নেই। সেখানে নির্ধারিত ব্যাংকের বুথে টাকা জমা দিলে স্লিপ দেওয়া হলে নির্ধারিত জায়গায় কোরবান দেওয়া হয়। এখানেও কোরবানীর বিষয় অনেকটা সেরকম। আমরা ধর্মীয় বিধান বা নিয়মগুলো কঠোরভাবে ফলো করবো। কারণ, কোরবানী হচ্ছে আল্লাহর উদ্দেশে বান্দার ত্যাগ।
গরুর মূল্য
১.
কোড নাম্বার: OD3M10K
গরুর মাংসের ওজন (আনুমানিক): ৩ মণ ১০ কেজি
পুরো গরুর দাম: ৬৯ হাজার টাকা
এক ভাগ: ১০ হাজার টাকা (সব খরচসহ)
বুকিং মানি: ৫ হাজার টাকা। ২.
কোড নাম্বার: OD3M20K
গরুর মাংসের ওজন (আনুমানিক): ৩ মণ ২০ কেজি
পুরো গরুর দাম: ৭১ হাজার টাকা
এক ভাগ: ১০ হাজার ৫শ’ টাকা (সব খরচসহ)
বুকিং মানি: ৫ হাজার টাকা।
৩.
কোড নাম্বার: OD3-5M
গরুর মাংসের ওজন (আনুমানিক): সাড়ে ৩ মণ
পুরো গরুর দাম: ৭২ হাজার টাকা
এক ভাগ: ১০ হাজার ৫০০ টাকা (সব খরচসহ)
বুকিং মানি: ৫ হাজার টাকা।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত গেরস্থের এই তিন ওজনের গরু স্টকে আছে। এছাড়া ৫ মণ এবং ২০ মণ ওজনের গরুও শিগগির আমাদের স্টকে আসবে।
গরু কেনা বা ভাগে কোরবান দেওয়ার বিষয়ে কীভাবে যোগাযোগ করতে হবে? এ বিষয়ে সুলতান আহমেদ বলেন, কোরবানীর গরু ক্রয় বা ভাগ বুকিং সম্পর্কে আমাদের ফোন নাম্বার ০১৬৩০ ২৯৫ ৪৬২ এ জানাতে পারবেন। এছাড়া যেকোন প্রশ্ন জানাতে পারেন আমাদের ফেসবুক পেজে। সেখানেও গরুর ছবি দেখে বিস্তারিত জানতে পারেন। আমাদের ফেসবুক পেজ হলো: http://www.facebook.com/OvendaBangladesh
এছাড়া http://www.facebook.com/dorgoray ঠিকানা থেকে উপরোক্ত গরু কিংবা ভাগে কোরবান দেওয়ার বুকিং কনফার্ম করা যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।