কোভিড-১৯ : বাংলাদেশে শনাক্ত ও মৃত্যু এটাই সর্বোচ্চ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৮৬২ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন, নতুন করে ৫৩ জন মারা গেছেন। মোট রোগীর সংখ্যা ৯৪ হাজার ছাড়িয়েছে, আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৬২ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৩৬ হাজারের বেশি মানুষ।

যারা মারা গেছেন,বয়সের আনুপাতিক হার:১১ থেকে ২০ এর মধ্যে মারা গেছেন ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্য মারা গেছেন ৩ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে ৯ জন মারা গেছেন।৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে মারা গেছেন ১৯ জন।৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন। ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সের মধ্যে মারা গেছেন ৮ জন। ৮০ বছরের বেশি বয়সী মারা গেছেন ১ জন।

এদিকে মিরপুর ১ থেকে মিরপুর ১৪ এই এলাকার মধ্যে মোট রোগীর সংখ্যা এখন এক হাজারের বেশি।মিরপুর একে প্রায় একশো রোগী পাওয়া গেছে।এর বাইরে মহাখালীতে ৫০৮ জন রোগী পাওয়া গেছে।যাত্রাবাড়িতে ৪৬৯ জন রোগী পাওয়া গেছে। কাকরাইলে ৩০৪ জন রোগী পাওয়া গেছে।গুলশানে রোগীর সংখ্যা ২২৭ জন।রাজারবাগে ২২৬ জন রোগী পাওয়া গেছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বিবেচনা করে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলকে যে তিনটি জোনে ভাগ করা হয়েছে তার মধ্যে শুধু লাল জোনের অফিসগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।এই জোনে বসবাসকারী চাকুরিজীবীরাও এই ছুটির আওতায় থাকবেন।তবে হলুদ ও সবুজ জোনগুলোতে সীমিত পরিসরে যেভাবে অফিস চলছিল সেগুলোতে ৩০শে জুন পর্যন্ত একইভাবে অফিস চলবে।তবে সোমবার আগের দিকে জারি করা সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, “লাল ও হলুদ জোনে অবস্থিত সামরিক বা অসামরিক, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-সায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দপ্তরগুলো এবং লাল ও হলুদ অঞ্চলে বসবাসকারী এসব দপ্তরের কর্মকর্তারা সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবেন।” পরে সেটা পরিবর্তন করে শুধু লাল জোনে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

সারা দেশে রেড জোনে সেনাবাহিনী টহলে থাকবে।রেড জোনে টহল দেবে সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে আইএসপিআর।ঢাকায় নানা এলাকায় দেখা গেছে সেনাবাহিনী গাড়ি নিয়ে টহল দিয়েছে।ঢাকার বাইরেও নানা জায়গায় দেখা গেছে দোকান-পাটে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছে সেনাবাহিনী।

রেডজোন এরিয়াতে নিষেধাজ্ঞার বাইরে যা যা থাকবে:১)আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থা এবং জরুরি পরিষেবা।২)ত্রাণ বিতরণ। ৩)স্বাস্থ্য সেবা।৪)বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি।৫)ফায়ার সার্ভিস।৬)স্থল- নদী-সমুদ্রবন্দর কার্যক্রম।৭)টেলিফোন-ইন্টারনেট ও ডাক সেবা।৮)জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী।৯)কৃষি পণ্য, শিল্প পণ্য, পরিবহনের যানবাহন। ১০)কাঁচাবাজার।১১)ওষুধের দোকান। ১২)হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এর এর সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মী।

আরো যেসব নির্দেশনার জারি করার মধ্যে রয়েছে:১)রাত আটটা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।২)জরুরি কারণে বাইরে গেলেও মুখে মাস্ক পরতে হবে।৩)নির্দেশনা ভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।