আলকামা সিকদার টাঙ্গাইল :
কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় তিন জন নিহতের ঘটনায়- মধুপুরের নিহত শিক্ষক মাওলানা মুসলিম উদ্দিনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
১০ নভেম্বর রবিবার দুপুরে নিহতের নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর চাকন্ড বীরের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক বাবা নিজ ঘরে বসে আছে। নিহতের বড়ো ভাই সোলায়মান বলেন, দ্রুত গতির ঘাতক বাস তার ভাইয়ের জীবন কেঁড়ে নিয়েছে আমি এর বিচার চাই। নিহতদের বোন জামাই লাল মিয়া জানান তিন ভাইয়ের মধ্যে নিহত মুসলিম উদ্দিন ছিলো মেঝো। সে মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি মসজিদের ইমাম ছিলো। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য টাঙ্গাইলের সখিপুর থেকে বন্ধুকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষে তিন তরুণের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ৩ টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কালিয়াকৈরের শিলাবৃষ্টি ফিলিং স্টেশন এলাকায় বাস-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
নাওজোড় হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান
নিহতরা হলেন, সখিপুর উপজেলার দেবলচালা গ্রামের সবুর মিয়ার ছেলে নাছির উদ্দিন (২৩), একই উপজেলার আন্দি পূর্ব পাড়া সেকান্দার আলীর ছেলে জুয়েল(৩২) এবং মধুপুর উপজেলার মো. সৈয়দের ছেলে মুসলিম উদ্দিন (৩০)। এছাড়া, প্রাইভেটকার চালক আজিজুল আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, বন্ধু মামুন মিয়াকে এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন মোসলেম উদ্দিন, নাসির ও জুয়েল।
তাঁদের বহনকারী প্রাইভেটকারটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার বোর্ডঘর শিলাবৃষ্টি ফিলিং স্টেশন এলাকায় ইউটার্ন করে শিলাবৃষ্টি পাম্পে প্রবেশ করছিল। এ সময় ঢাকাগামী আল বারাকা পরিবহন নামের একটি বাসের সঙ্গে প্রাইভেটকারটির সংঘর্ষ হয়। এতে নাসির ঘটনাস্থলেই, মোসলেম উদ্দিন কালিয়াকৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ও জুয়েল কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শহিদুল ইসলাম আরও জানান, এ ঘটনায় প্রাইভেটকার চালক আজিজুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার প্রাইভেটকার ও বাসটি জব্দ করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর বাসটির চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা চলমান।