করোনায় মৃত্যুশূন্য বাংলাদেশ

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে কারো মৃত্যু হয়নি। ২০ মাস পর মৃত্যুশূন্য দিন দেখল বাংলাদেশ। ফলে করোনায় মৃতের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৯৪৬ অপরিবর্তিত থাকল। তবে এসময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৭৮ জনের। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৯ জনে।

শনিবার (২০ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯০ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৩৮ হাজার ৬ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ১০৭টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ।

এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৭ লাখ ৬ হাজার ৬৬২টি নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। প্রতি ১০০ জনে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এর আগে শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যান সাতজন। অন্যদিকে করোনা শনাক্ত হয় ২৫৩ জনের দেহে।

গত বছরের ৩ এপ্রিলের পর এই প্রথম করোনায় মৃত্যু শূন্য একটি দিন কাটল বাংলাদেশ। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেই বছর সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় চলতি বছর জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হু-হু করে বাড়তে থাকে। ২৮ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

চলতি বছরের গত ৭ জুলাই প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যু হয়, যা মহামারির মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বেশকিছু দিন ২ শতাধিক মৃত্যু হয়। এরপর গত ১৩ আগস্ট মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ এর নিচে নামা শুরু করে। দীর্ঘদিন শতাধিক থাকার পর গত ২৮ আগস্ট মৃত্যু ১০০ এর নিচে নেমে আসে।