বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা মহামারিতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আবারও বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। একই সময়ে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ২৮০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ২০০’র বেশি বেড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫২ লাখ ৭৭ হাজার ১৩১ জনে।
একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন চার লাখ ৪০ হাজার ২৩৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৮ হাজার। এতে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯ জনে।
এদিকে বিশ্বে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৩৯ জন। মারা গেছেন ৫৭৫ জন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত পাঁচ কোটি এক লাখ ২৮ হাজার ৪৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আট লাখ ১০ হাজার ৩৬ জন।
দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজার ১৮৪ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩২ হাজার ১৩৬ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৮ লাখ ৩৩ হাজার ৭৪৯ জন। মৃত্যু হয়েছে দুই লাখ ৮২ হাজার ৪৬২ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত তিন কোটি ৪৬ লাখ ৪৮ হাজার ৮৬ জন। মারা গেছেন চার লাখ ৭৩ হাজার ৫৩৭ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ১১৫ জন। নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন চার হাজার ৩৮৫ জন। এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ২১ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭৬ জন। মারা গেছেন ছয় লাখ ১৫ হাজার ৭৮৯ জন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।