করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর অসহায়ত্ব দেখেও শিক্ষা হয়নি আমাদের। গার্মেন্টসসহ আরও কিছু শিল্পের সিদ্ধান্তহীনতা ও সমন্বয়ের অভাব লক্ষ্য করা গেল। এই ঝুঁকিপূর্ণ সময়েও কারখানা খোলার কথা বলে শ্রমিকদের রাস্তায় নামিয়ে আনা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এ ধাক্কা অপূরণীয়, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে ৭২ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এ প্যাকেজ প্রশংসার যোগ্য।
তবে এত ক্ষতির মধ্যেও আমাদের যেটা মনে রাখতে হবে, তা হলো- মানুষের জীবন। শ্রমিকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। প্যাকেজ ঘোষণা করলেও সরকার বারবার এ কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন শিল্পকারখানার মালিকদের। কিন্তু তারা সেটা মানছেন না বললেই চলে। বিজিএমইএ সভাপতি কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ করলেও সেটা রাখেননি অনেকে।
এরমধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুরে সারদাগঞ্জে ডিবিএল গ্রুপের কারখানার কথা ধরা যাক। এ কারখানা এখনও বন্ধ করা হয়নি বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়াও সাভার-গাজীপুরের অনেক ফ্যাক্টরি এখনও খোলা রয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। এসব বিষয়ে এখনই কঠোর হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যেন কোনো কারখানা খোলা রাখা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সীমিত আকারে কারখানা খোলা রাখা যেতে পারে। আমরা আবারও বলতে চাই, করোনাক্রান্তিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিৎ মানুষের জীবন। এজন্য কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ছড়িয়ে পড়ার আগেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত