করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত চলচ্চিত্র শিল্পকে সহায়তার লক্ষ্যে এবছর তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পূর্বের তুলনায় বেশি সংখ্যক চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গত ২৫ জুন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে তা প্রতিফলিত হয়েছে। ১৬টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য মিলে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়া হয়েছে। গত অর্থবছরে অনুদান পেয়েছিল মোট ১৪টি চলচ্চিত্র।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতি ও প্রযোজক পরিবেশক সমিতি অনুদানের এ সিদ্ধান্তের জন্য তথ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান টেলিফোনে ড. হাছানকে সময়োপযোগী পদক্ষেপের জন্য শিল্পীদের পক্ষে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার স্বাক্ষরিত অভিনন্দন পত্রে বলা হয়, 'তথ্য মন্ত্রণালয় ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্র নির্মাণের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং মূলধারার চলচ্চিত্র নির্মাতাদেরকে প্রাধান্য দেয়ায় এবং অনুদানের অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করায় মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে এবং আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে তথ্যমন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রণালয় সময়োপযোগী ও যথাযথ ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করি।
চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু স্বাক্ষরিত তাদের পত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের আপনার সাথে প্রথম সাক্ষাতের সময় দাবী ছিল, সরকারি অনুদানের ছবিতে যেন মূলধারার প্রযোজক পরিচালকদের প্রাধান্য দেয়া হয়।
সরকারি প্রজ্ঞাপনে দেখা যায় মূলধারার অধিকাংশ প্রযোজক পরিচালক সরকারি অনুদানের ছবি পেয়েছেন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির পক্ষ থেকে আপনার প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।'
চলচ্চিত্রের এসকল সংগঠনই এবারের অনুদানকে করোনাবিপন্ন সময়ে চলচ্চিত্রের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত