কথিত হাসিনার স্বৈরাচারী আমলে কি করেনি ‘জসিম’ ওরফে জসু, সক্রিয় এখনো

নিজস্ব প্রতিবেদক। সিদ্দিরগঞ্জ নারায়ণগঞ্জ: সিদ্দিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারাণ সম্পাদক হাজি ইয়াসিন মিয়ার চাচাতো ভাই ও কেসিয়ার জসিম ওরফে (জসু) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সহ নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি স্থানে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে হেনো কোন ন্যাক্কার জনক অন্যায় নেই যা জসু মিয়া করতো না এমন অভিযোগ এর পাহাড় জমা করা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগী অসহায় জনগণ।অত্যাচারী জসু নামেই বেশী পরিচিত।যাকে গত ৫ ই আগষ্ট ২০২৪ সালের পর থেকে আইনের হাতে তুলে দিতে এলাকার মানুষ হন্যে হয়ে খুঁজেছে।তার আমল নামার দলিলি এমন ভয়ংকর যে তার বিষয়ে অনেকে মুখ খুলতে ভয় পায়।কিন্তু আজ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী কালিন সরকারের কাছে জসুর সকল অপরাধ লিপী তুল ধরতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচার সরকার এর ভয়ঙ্কর দোসর ছিলো এই জসু।ক্ষমতা ব’লে অনেক অসাধ্যকে সাধন করে নানান অপকর্ম চালাতো জসু মিয়া।এলাকায় সে আলাদা একটা সাম্রাজ্য কায়েম করে রেখেছিলো। আওয়ামীলীগের আমলে এই জসু এমন কোন অন্যায় দুর্নীতি নাই যে নিজেকে জরায় নাই বলে পুঞ্জীভূত চাপা কান্নার বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে নিজেদের না বলা কথা গুলো বলেন অনেকে।

নাসিক ২ নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের আওয়ামীলিগের কোন সমাবেশ মিটিং মিছিল হলে তিনি বিভিন্ন ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা তুলে টাকার জোগান দিতো।তার ভয়ে সবাই চুপ থাকত,কেউ কথা বলার সাহস পেত না,সে জালিয়াতি করে জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে সেই জাল সার্টিফিকেট দিয়ে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া ১০১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ বাগিয়ে নেয়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াসিন মিয়ার আস্থাভাজন হওয়ায় দলীয় প্রভাবে বিভিন্ন সুবিধা নিতো জসু।

ভুক্তভোগী গণ বলেন স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় জসু অনেক বেপরোয়া হয়ে উঠে।জানা গেছে ২০১৮ সালের ২৬ এ আগস্ট মাসে মক্তার হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে তার নিজের অফিস থেকে তুলে নিয়ে মৌচাক শামস ফিলিং স্টেশনের অফিসে জসু ও তার গুন্ডা বাহিনি মুক্তার হোসেনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি করে মক্তার হোসেন টাকা দিতে অপারগতা জানালে জসুর নেতৃত্বে তার গুন্ডাবাহিনী অমানবিক নির্যাতন চালায় মক্তার হোসেনের উপর।এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয় অজানা ক্ষমতার বলে তবুও জসু ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়,।

ছাত্র জনতার গণ অভভুথানের পর ৫ মাস পালিয়ে ছিলো জসু মিয়া। হঠাৎ করে আবার এলাকায় ফিরে জসু আওয়ামী লীগের অন্য সব নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে গোপনে আওয়ামী দোসরদের একত্রিত করার জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন শান্তি প্রিয় ২ নং ওয়ার্ডবাসী।গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে জসুর নামে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় একাধিক হত্যা মামলার আসামি হওয়া সত্বেও এলাকায় আগের সেই চিরচেনা দাপটের মহরা দিয়ে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের অস্তিত্ব প্রকাশ করছে।

ঘুরে বেরাচ্ছেন বুক ফুলিয়ে।মামলার বাদিদের সাথে বড় অংকের আর্থিক লেনদেন এর বিনিময়ে এলাকায় ঘুরে বেরাচ্ছে জসু মিয়া।যা নিয়ে সমাজে তিব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।যে হাজী ইয়াসিন মিয়া,জসিম ওরফে জসুর কারণে বিগত ষোল বছর অসহায় জনগণের অশ্রু বয়ে ছিলো সেই হাজী ইয়াসিন মিয়া ও জসুর কারণে আজও বইয়ছে অশ্রু ধারা ২ নং ওয়ার্ডবাসীর।অজানা অশনি সংকেতের আতঙ্ক আতঙ্কিত অবস্থা বিরাজ করছে সকলের মনে।

যে কোন সময় গুন্ডা জসু এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সৃষ্টি করতে পারে। জসুদের হাত থেকে কি রক্ষা পাবো না বলে ২ নং ওয়ার্ডবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আকুলতার স্বরে আবেদন করেন।ভুক্তভোগীরা কান্নারত কণ্ঠে বিলাপ করে মহামান্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুসকে বলেন মহামান্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস কি পারবেন স্বৈরাচারী হাসিনার ও হাসিনার পালিত খুনিদের সাজা দিতে।??