কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারে দুর্বৃত্তদের গুলিতে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার ও তার ভাই সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কুদরত উল্লাহ সিকদারসহ চার জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শহরের লিংক রোড এলাকায় গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত জহিরুল ও কুদরত উল্লাহকে কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার এবং তার ভাই সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য এবং আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে সদস্য প্রার্থী কুদরত উল্লাহ সিকদার নির্বাচনি প্রচার শেষ করে ব্যক্তিগত অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে এসে দুর্বৃত্তরা সরাসরি কুদরত উল্লাহ সিকদার ও জহিরুল ইসলাম সিকদারসহ চার জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। আহত অন্য দুজন কুদরত উল্লাহ সিকদারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও গাড়ির চালক। এ ঘটনার পরই আশপাশের লোকজন আহতদের কক্সবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহীন আব্দুর রহমান জানান, আহতদের মধ্যে জহিরুল ইসলাম এবং তাঁর ছোট ভাই কুদরত উল্লাহ সিকদারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অন্যদের জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল্লাহ আনছারীর দাবি, ঝিলংজা ইউপি নির্বাচনে কুদরত উল্লাহ সিকদারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লিয়াকত সিকদার গং এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা বারবার কুদরত উল্লাহর নির্বাচনি সভায় হামলা করে আসছে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীর উল গিয়াস একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাত ১২টার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার সদর ও রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামসহ পুলিশের কর্মকর্তারা।