এতদিন নানা ছুতোয় বিশ্বের বিভিন্ন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই অস্ত্র এবার নিজেদের দিকেই পাওয়া শুরু করেছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র এবার উল্টো নিষেধাজ্ঞা খেল চীনের কাছ থেকে।
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৫ প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চীন। চীনা নিষেধাজ্ঞায় পড়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিএই সিস্টেমস ল্যান্ড অ্যান্ড আর্মামেন্টস, অ্যালিয়ান্ট টেকসিস্টেমস অপারেশনস, অ্যারোভায়রনমেন্ট, ভায়াস্যাট ও ডেটা লিংক সলিউশনস।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের কাছে সাম্প্রতিক অস্ত্র বিক্রি চীনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গুরুতরভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এছাড়া এটি তাইওয়ান প্রণালিতে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করেছে। চীনে এসব কোম্পানির সম্পত্তি জব্দ করবে বেইজিং। এছাড়া চীনের ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোকে এদের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা দেবে।
চীনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও বেইজিংয়ের মার্কিন দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। অবশ্য তাইওয়ানের কৌশলগত তথ্য ব্যবস্থা বজায় রাখতে গত মাসে ৩০ কোটি ডলারের সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এরপরই নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয় বেইজিং।
১৩ জানুয়ারি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন। এমন অবস্থায় তাইওয়ানের কাছে মার্কিন অস্ত্র বিক্রিকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ঘন ঘন উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে। চীন গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে তাদের ঐতিহাসিক ভূখণ্ড বলে দাবি করে। তবে তাইওয়ান সরকার তাদের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ধরনের আপস করতে নারাজ। এই সুযোগে সেখানে সবসময়ই নাক গলাতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।