অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গার্মেন্টস ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীসহ সারাদেশে বাসে যাত্রী পরিবহনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এতে বাস সংকটে ভোগান্তি বাড়বে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্টদের মতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাসে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে চলাচল নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। এতে সিএনজি, ভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট যানে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন বাড়বে। একইসঙ্গে যাত্রীদের ভোগান্তি ও ভাড়া ব্যয় বেশি হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত সোমবার ১১ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে- বাস, ট্রেন ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেকসংখ্যক যাত্রী বহন করা যাবে।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেন, পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বিধিনিষেধ বাস ও মিনিবাসে শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচলের প্রস্তাত দিয়েছ। বাস মালিকরা বলছেন- ৫০% যাত্রী পরিবহন করা হলে পরিবহন সংকট চরম আকার ধারণ করবে ও যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়বে।
শনিরআখড়া থেকে শ্রাবণ নামে গণপরিবহনে পল্টন অফিসে আসছেন সিরাজ সিকদার। তিনি বলেন, অফিসে যাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থেকে শনিরআখড়া থেকে পল্টনে আসি। অফিস খোলা রেখে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চললে বাসে ওঠা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।
ঢাকার ফার্মগেট-নিউমার্কেট, ফার্মগেট-মোহাম্মদপুর কিংবা ফার্মগেট-ধানমন্ডি; মতিঝিল-খিলগাঁওসহ বিভিন্ন পথে লেগুনা-টেম্পোতে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চললে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়বেন।