ছাগলকাণ্ডের জেরে আজ বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরে সাদিক এগ্রো ফার্মে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার কথা ছিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। কিন্তু এর আগেই আলোচিত এই এগ্রো ফার্মের জন্য তৈরি স্থাপনা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে সাদিক এগ্রোর লোকজন স্থাপনা ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে। জানা গেছে, রাত থেকেই সাদিক অ্যাগ্রোর বেশকিছু গরু সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে অবৈধভাবে দখল করে রাখা অস্থায়ী কিছু স্থাপনাও সরিয়ে নিয়েছে তারা।
এর আগে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য গতকাল বুধবার তিন প্লাটুন পুরুষ পুলিশ ফোর্স ও এক প্লাটুন নারী পুলিশ ফোর্স চেয়ে ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগ থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন অঞ্চল-৫-এর অন্তর্ভুক্ত মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন আশপাশের অবৈধ স্থাপনাসহ খাল ও সড়কের জায়গায় সাদিক এগ্রো লিমিটেডের অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা অপসারণ করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল-৫-এর এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, তারা (সাদিক এগ্রো) রামচন্দ্রপুর খালের জায়গা ভরাট করে খামার করেছে। রাস্তার জায়গায় বেড়া দিয়ে গরুর অবৈধ হাট বসিয়েছিল। এর আগেও তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খামার কর্তৃপক্ষ এসব কোনো বিষয়ে তোয়াক্কা করেনি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনিচ্ছুক ঢাকা উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, খালের ওই অংশে অবৈধ দখলদার সাদিক অ্যাগ্রোর বিষয়টি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরানের সখ্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, সাদিক অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।
ঈদুল আজহার আগে সাদিক এগ্রো ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রির ভিডিও প্রকাশের পর থেকে একের পর এক তথ্য আসতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে এনবিআরের মতিউরের সম্পদের তথ্য। এর জের ধরে উচ্ছেদ হয়েছে সেই সাদিক এগ্রো।