ছাগলকাণ্ডের সামলোচনার মধ্যেই শুরু হয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদিক এগ্রোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ। গতকাল বুধবার থেকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসাইনকে। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) তিনি বলেন, ‘আমি তো এই জমির মালিক নই, একজন ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলাম। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি অন্য কোথাও চলে যাব।’
আজ সকালে সিটি করপোরেশন থাকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার আগে নিজেদের লোকজন দিয়ে স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সরিয়ে নেন তিনি। এর আগে রাতের মধ্যেই অনেক পশু সরানো ইমরান।
উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ অভিযানকে স্বাগত জানাই’। তার দাবি, সিটি করপোরেশন যে জায়গাটা খাল বলে দাবি করছে, সেটির মালিক তিনি নন। এই জায়গায় মালিক এই স্থাপনার দ্বিতীয়তলায় থাকেন। তিনি তার জায়গায় স্থাপনা করেছেন, আমি নিচতলা ভাড়া নিয়েছি। মালিক নিজেই দ্বিতীয়তলায় থাকেন। খাল ভরাটসহ যা কিছু বলা হচ্ছে সবই মালিকের করা। দ্বিতীয় তলায় যেহেতু তিনি থাকেন এবং সিটি করপোরেশন যদি মনে করে যে এটা ভেঙে দেবে, তো ভেঙে দিতে পারে।
উল্লেখ্য, সাদিক এগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন। এই পদ ব্যবহার করে তিনি গরু মাফিয়ার এক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ।
ঈদুল আজহার আগে সাদিক এগ্রো ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রির ভিডিও প্রকাশের পর থেকে একের পর এক তথ্য আসতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে এনবিআরের মতিউরের সম্পদের তথ্য।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত