যেসব গ্রাহক অনলাইনে অর্ডার দিয়েও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পণ্য পাননি, তাদের টাকা ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে এই চিঠিটি সম্প্রতি পাঠানো হয়।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, যেসব ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো মামলা চলমান নাই, সেসব প্রতিষ্ঠানের নামে এসক্রো সার্ভিসে আটকে থাকা টাকা সংশ্লিষ্ট ভোক্তাদের ফেরত দেওয়ার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টে বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মেজবাউল হক বলেন, সোমবার আমাদের হাতে চিঠিটি পৌঁছেছে। এখন এটি অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে এসক্রো সার্ভিসকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, আইন মন্ত্রণালয় থেকে যেহেতু মতামত পাওয়া যায়নি, সে কারণে যেসব কোম্পানির নামে মামলা হয়নি সেসব কোম্পানির আটকে থাকা টাকা ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক-কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ২ ডিসেম্বর ডিজিটাল কমার্স আইন প্রণয়ন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা উপকমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওই সিদ্ধান্ত অনুসারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, ইতিমধ্যেই পণ্য সরবরাহ সম্পন্ন না হলে পেমেন্ট গেটওয়েতে আটকে থাকা ভোক্তাদের অর্থ ফেরত দেওয়া যেতে পারে। মামলাধীন কোম্পানির অর্থ ফেরতের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এর আগে গত অক্টোবরে ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তিন মন্ত্রীর বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের ২১৪ কোটি টাকা এসক্রো সার্ভিসে আটকে আছে। ওই টাকা ৩ মাসের মধ্যে গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হবে।
এরপর ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া খুঁজে বের করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি করে দেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ওই কমিটি টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতামত চায়। সেখান থেকে মতামত দেওয়া হয়- অর্থ ফেরত পেতে যেসব কোম্পানির নামে ক্ষুব্ধ গ্রাহক মামলা করেছেন, ওই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না। এরপর বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে মতামত চায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।