আল ঝাঁঝরার খবর দেখে খুশিতে অজ্ঞান বিএনপির মোতাহার

আল স্যাটায়ার ডেস্ক: ভাতার ভিত্তিক নিউজ চ্যানেল আল ঝাঁঝরা ‘ওরা ভাতারি রাজতন্ত্রের লোক’ নামে যে প্রতিবেদন প্রচার করেছে কয়েকদিন পরও সেই ভিডিও দেখে ‘খুশিতে, ঠেলায়, ঘোরতে’ গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন নোয়াখালীর পশুরহাট এলাকার বিএনপির নেতা মোতাহার হোসেন হাওলাদার।

এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা মোতাহারকে নোয়াখালী মিনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে কয়েক ঘণ্টা অজ্ঞান থাকার পর সে হঠাৎ করেই বলে ওঠে ‘আমি ক্যালেডা গিয়ার লোক’। একথা বলার সাথে সাথেই মোতাহারকে দেওয়া স্যালাইনের তার খুলে যায়। এরপর আবারও অজ্ঞান হয়ে যায় ‘মোটাহার’।

সেখানে অজ্ঞান পার্টির একজন সদস্য প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন আমিও অজ্ঞান পার্টির লোক। তবে নিজে অজ্ঞান হই না, অজ্ঞান করি। ধরতে পারেন সেই কথার মতো, আমি নাচবো কেন, নাচাই।

একথার সূত্র ধরে আমাদের রতিবেদক তাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এই অজ্ঞানের সাথেও আপনি জড়িত কিনা’। এর জবাবে তিনি জানান, আপনারা সাংবাদিক। ঘটনা আপনারা খুঁজে বের করবেন। আমি যদি বলে দেই তাহলে আপনার কাজ কী? তবে আমি কিছু ক্লু দেবো; বাকিটা আপনি খুঁজেন।

এরপর ‘আই এম রিপন বিডিও’ স্টাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনো দোষ নাই। আমি সবসময় ভাইরাল ইস্যু নিয়ে থাকি। আমি রিপন বিডিও আর হিরো মলমকে সবসময় পলো করি। অন্তত দ্য জটিল এর এক বিডিওর নিচে একটা কমেন্ট দেখি। সেখানে বলা হয়, জটিল দা আপনার ভাত মারছে আল ঝাঁঝরা। ওরা এখন ভাইরাল। কমেন্টকারীর আইডিতে গিয়ে দেখি সে বশিরালের লোক। এতে আমি বিচলিত হয়ে পড়ি। কারণ, এর আগে কমেন্ট সেকশন ছিল নোয়াখালীর পক্ষে, বিভাগের পক্ষে। সেখান থেকে নজর সরাতে বশিরালের লোকজন কোন ষড়যন্ত্র করছে কিনা, তা দেখতেই কমেন্টের লিংকে ক্লিক করি।’

‘কিন্তু মোতাহারের ঘরের মোটাহার যে আমার পিছনে এসে দাঁড়িয়ে ছিল সেটা আমি দেখি নাই। প্লেনের ভিতর থাকলে যেমন পেছনের লোক দেখা যায় না, বিষয়টা ঠিক সেরকম। এরপর ভিডিও দেখতে দেখতে সে উত্তেজিত হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। এখন এই দোষ কী আমার?’, রতিবেদকের গোপন অঙ্গের দিকে, শিট– গোপন ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকেন রিপন অজ্ঞানী।

এমন ঘটনার পর আমাদের রতিবেদক নিজের মূল্যবান গোপন জিনিস অর্থাৎ হিডেন ক্যামেরা রক্ষার স্বার্থে ভালোয় ভালোয় রিপন বিডিও ও মোতাহারের কাছ থেকে কেটে পড়েন।

(স্যাটায়ার সেকশনে প্রকাশিত লেখাগুলো মূলত কোনো প্রতিবেদন নয়, রম্য ও বিনোদনমূলক। কাউকে হেয় করতে এ লেখার তো প্রশ্নই উঠে না, তদুপরি বাস্তবের সঙ্গেও এর কোনো মিল নেই। সুতরাং ঢিল ছোঁড়ারও কিছু নেই।)