দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার মজলুম সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলছেন, ‘বাংলাদেশের বিপ্লবী আইকন আবু সাঈদ। সাঈদসহ সব শহীদ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।আমরা তাদেরকে কখনো ভুলব না।’
শুক্রবার সকালে তুরস্ক থেকে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। এসময় সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ ছাত্র-জনতা তাকে অভ্যর্থনা জানান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘পরাজিত ফ্যাসিবাদ বিদেশে বসে তার বিদেশি প্রভু এবং বাংলাদেশের এজেন্টদের নিয়ে বিপ্লবকে নস্যাৎ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আপনাদের মধ্যে যেন কোনো অনৈক্য না আসে।
তিনি জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করেছে। আইনজীবী এখন পর্যন্ত ১০৭টি মামলার হিসাব পাঠিয়েছে। আরও মামলা থাকতে পারে। সেই মামলার মধ্যে একটি উদ্ভট এবং বিচিত্র এক মামলায় আমাকে সাত বছরের সাজাও শুনিয়েছে সরকার।
আমার দেশ সম্পাদক বলেন, সেই মামলায় আমাদের বর্ষীয়ান সম্পাদক শফিক রেহমান সাহেবের সঙ্গে আমাকে জড়িয়েছে। শফিক ভাই খুব ভালো করেই জানেন যে, ওই মামলার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। তারপরও শেখ হাসিনার তার বিদ্বেষ চরিতার্থ করার জন্য আওয়ামী আদালত দিয়ে আমাকে সাত বছরের জেল দিয়েছে। আমার মা গুরুতর অসুস্থ। তাই তাকে দেখতেই দ্রুত চলে আসা। দু’দিন মায়ের সাথে থাকতে চাই। রোববার আমি আদালতে যাব। আমার নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আছে।
আদালত থেকে তাকে কারাগারে যেতে হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সেরকম আশঙ্কায় আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত নই। শেখ হাসিনার আমলে আমি পাঁচ বছর কারাগারে ছিলাম। এই আমলে পাঁচ মাস কারাগারে থাকতে আমার কোনো সমস্যা নাই। আমার বয়স হয়েছে, আমি বুড়ো হয়ে গেছি কিন্তু জেলে থাকার মতো মানসিক ও শারীরিক শক্তি এখনো আমার আছে।’
উপস্থিত শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা এটা নিয়ে একদম বিচলিত হবেন না, উদ্বিগ্ন হবেন না। আইনকে তার রাস্তায় যেতে দিন, আমাকে আমার মতো করে লড়াই করতে দিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আমি আমার মতো করে ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে লড়াই করে গেছি। রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত তাদের মতো করে লড়াই করেছে।আমি লড়াই করেছি আমার মতো করে, আমার দেশ পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে।’
এ সময় বিমানবন্দরে সাংবাদিক মাহমুদুর রহমানকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়।