হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বামপন্থী নেতা রাশেদ খান মেননকে মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিতে বলেছিলেন। ভাস্কর্য ইস্যুতে কথা বলায় এমন আচরণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাশেদ খান মেনন।
সোমবার বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টক শো’তে অংশ নিয়ে রাশেদ খান মেনন এসব কথা বলেন।
রাশেদ খান মেনন বলেন, ২০১৩ সাল থেকে হেফাজত ইস্যুতে নরম না হয়ে কঠোর অবস্থানে থাকলে আজ এমন অবস্থা হতো না। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল হেফাজত তোষণ নীতি অবলম্বন করেছে। সেখানে পানি বন্টন করেছে।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলেছি। ভাস্কর্য ইস্যুতে কঠোর হতে বলেছি। আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত এসেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে। এরপরও আমরা দেখলাম আলোচনার কথা। ধর্মমন্ত্রী চলে গেলেন হাটহাজারিতে। কবর জেয়ারতের নাম করে মোল্লা শফীর সাথে আলোচনা করলেন। এরপর মানুষ ভাস্কর্য নিয়ে শঙ্কিত হয়ে গেল। এখন পর্যন্ত সেই ভাস্কর্য নির্মিত হয়নি।
‘এরপর আমরা দেখলাম শাল্লার ঘটনা। আপনি বলে দিলেন ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সভা-সমাবেশ না করার জন্য। কিন্তু তাদেরকে আপনি ফ্রিহ্যান্ড দিয়ে দিলেন। ১৫ তারিখের আগে মামুনুল হক শাল্লার পাশের গ্রামে গেলেন। সেখানে তিনি নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করলেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর বিষেদাগার করলেন। এরপরই এমন ঘটনা ঘটলো’, বলেন রাশেদ খান মেনন।