২০১৯-২০২০ সালের চলতি বাজেটে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের জন্য বরাদ্দ রয়েছে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির মাত্র ০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অর্থ মূল্যে যার পরিমাণ ২৫ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা। পুরো বাজেটের আকারের তুলনায় তা ছিল মাত্র ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ পরিবহন ও যোগাযোগ খাত পেয়েছে বাজেটের ২৬ দশমিক ১ শতাংশ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাত পেয়েছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
আগের বছর ছিল জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ। উন্নত দেশগুলোর মধ্যে নিউজিল্যান্ডে ব্যয় করা হয় জিডিপির ৯ শতাংশ।
জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিকের (এসকাপ) ২০১৮ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিডিপির বিচারে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৫২টি দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে কম বরাদ্দ দেয়া হয় বাংলাদেশ।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলছেন, ”বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের জন্য এই পরিমাণ খুবই অপ্রতুল। এ খাতে মাথাপিছু বরাদ্দ মাত্র ১ হাজার ৫৩৭ টাকা। এ কারণে মানুষকে নিজের পকেট থেকে প্রায় ৬৬ শতাংশের মতো খরচ করতে হয়। অর্থাৎ স্বাস্থ্যের পেছনে ১০০ টাকা খরচ হলে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায় ৩৪ টাকা এবং বাকি ৬৬ টাকা রোগী নিজে বহন করে। এই টাকা খরচ করা অনেক মানুষের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।”
স্বাস্থ্য খাতের খরচের বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, একদিকে বাজেটে যেমন বরাদ্দ কম, অন্যদিকে এই বরাদ্দের যতটা না চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়, তার চেয়ে বেশি খরচ হয় ভৌত অবকাঠামো, প্রশিক্ষণ ও বেতন-ভাতার পেছনে।
চলতি বছরের মোট বরাদ্দ ২৫ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকার মধ্যে ১৩ হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা চলে গেছে পরিচালন খাতে। এর মাত্র এক চতুর্থাংশের মতো বরাদ্দ হচ্ছে ওষুধ ও সরঞ্জাম কেনার পেছনে। বাকি অর্থ চলে যাচ্ছে বেতন-ভাতায়, যদিও প্রয়োজনের তুলনায় এখনো চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা অনেক কম।
জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক ডা. রশিদ-ই মাহবুব বলছেন, ”সক্ষমতার অভাব, কিছুটা দুবৃর্ত্তায়ন আছে, একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে যারা এগুলো অপচয় করে -সবকিছু মিলে আমূল সংস্কার দরকার। সংস্কার, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ছাড়া বরাদ্দ বাড়ালেও স্বাস্থ্যখাতে পরিবর্তন আসবে না।” তিনি বলছেন।
”অবকাঠামো কিছু আছে, কিন্তু সেখানে কাজ হচ্ছে না। রোগীর চাপ অনেক বেশি, কিন্তু তাদের জন্য মানসম্পন্ন চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই। রোগীর জন্য যে বরাদ্দ, সেটাও কিন্তু খুবই কম।”
সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি এবং এসব হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ৫১,৩১৬টি। আর বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫,০৫৫টি, যেখানে মোট শয্যার সংখ্যা ৯০,৫৮৭টি।
বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুমিত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ।
সেই হিসাবে প্রতি ১,১৫৯ জন ব্যক্তির জন্য হাসপাতালে একটি শয্যা রয়েছে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলছেন, ”যে বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়, সেটাও পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয় না। সেটা মূলত ভৌত অবকাঠামো, প্রশাসনিক ব্যয়, বেতন-ভাতা ইত্যাদিতে চলে যায়। প্রকৃতপক্ষে রোগীর সেবার জন্য বরাদ্দ খুবই কম।
”একদিকে বরাদ্দ কম, অন্যদিকে বাস্তবায়নের হার কম, অন্যদিকে ব্যয়ের গুণগত মান নিশ্চিত করা- এই সমস্যাগুলোর যদি সমাধান না হয়, তাহলে স্বাস্থ্যখাতের যে দৈন্যদশা, তা থেকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারবো না,” বলছেন ফাহমিদা খাতুন।
সরকারি স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসার ঘাটতির কারণেই বাংলাদেশে এখন এতো বড় করে প্রাইভেট চিকিৎসার ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। সরকারের সেই ঘাটতি পূরণ করতে হবে,” বলছেন ডা. রশিদ-ই মাহবুব।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলছেন, ”সরকারি যেকোনো অর্থব্যয়ের কিছু প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। আসলে বাজেট ঘোষণার পর প্রকল্প শুরু করতে একটু সময় লেগে যায়, তাই অনেক সময় পুরো বরাদ্দ খরচ করা যায় না। আমি মনে করি, প্রকল্পগুলো যদি আগেভাগে শুরু করা যায়, তাহলে বরাদ্দ পুরোপুরি কাজে লাগানো যাবে।”
এদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের দুর্নীতির খানা জরিপে অনেকবার শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত খাতের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের নাম উঠে এসেছে।
টিআইটি সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০১৭ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্থ খাতগুলোর একটি স্বাস্থ্যখাত, যেখানে দুর্নীতির হার ৪২.৫ শতাংশ।
২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য খাতে কেনাকাটা-নিয়োগসহ দুর্নীতির ১১টি খাত চিহ্নিত করে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে একটি প্রতিবেদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। সেখানে স্বাস্থ্যখাতে কেনাকাটা, চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ব্যবহার, ওষুধ সরবরাহসহ ১১টি খাতকে চিহ্নিত করা হয়। কিন্তু সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে স্বাস্থ্যখাতে কোন সংস্কার বা পদক্ষেপের কথা শোনা যায়নি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, দীর্ঘদিনের দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, জিডিপির সবচেয়ে কম বরাদ্দ, এসব কারণে স্বাস্থ্যখাত যে একটা ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে, এখন সেটার বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য খাতের ক্রয়ে যে দুর্নীতি, সেসব কারণে স্বাস্থ্য খাতের সেবার মান বরাবরই উপেক্ষিত ছিল। সম্প্রতি সেটার আরো অনেক প্রমাণ পাওয়া গেছে। যেমন এন ৯৫ মাস্ক ক্রয় কেন্দ্রিক ঘটনা। সেখানেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।”
”যারা এসব নানা অনিয়মের সাথে, দুর্নীতির সাথে জড়িত, তারা দুই কারণে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। কারণ তারা প্রভাবশালী মহলের সাথে জড়িত, সেই সঙ্গে যোগ হয় প্রশাসনের আমলা বা কর্মকর্তাচারীদের একাংশ।
”এ কারণে এদের মধ্যে যারা জড়িত তাদের যদি বিচারের আওতায় আনা যায়, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা যায়, তাহলেই বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে বাড়তি যে বরাদ্দের কথা বলা হচ্ছে, সেটা অর্থবহ হবে। না হলে সেই আগের ধারাবাহিতা অব্যাহত থাকবে, মানুষ সুফল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবে,” বলছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
তিনি বলছেন, স্বাস্থ্য খাত ঢেলে সাজাতে সরকারের কোন বিকল্প নেই। সেজন্য হয়তো আরো বরাদ্দ বাড়াতেই হবে। কিন্তু সেটা করতে গেলে অনিয়ম ও দুর্নীতিমুক্ত করতে উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বনিম্ন পর্যায় পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে, সরকারি অর্থব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দুর্নীতি প্রতিরোধ মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে।
তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান বলছেন, ”স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা দেখার জন্য সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে। আমি মনে করি, বিভিন্ন কমিটি দায়িত্বে রয়েছে, তাদের কিছুটা দায়দায়িত্ব রয়েছে। যখন কোন কিছু ক্রয় করা হবে, যারা অনুমোদন দেবেন, যারা পরীক্ষানিরীক্ষা করবেন- সকল পর্যায়ে সবাই যদি ভালো করে সময় দেন, তাহলে কেউ (দুর্নীতি) করার সুযোগ পাবেন না।”
বেসরকারি খাতের চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মানুষের হতাশা আছে বাস্তবসম্মত কারণে। হাসপাতাল-ক্লিনিকের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান চলছে সেখানে বাস্তবে যারা প্রশিক্ষিত সেবা-দানকারী থাকার কথা তার বিপরীতে বিভিন্ন অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে সেবা দানকারীরা সুযোগ নিচ্ছে”।
তিনি বলেন,” চাহিদার বিপরীতে সরবরাহের ব্যবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত আইনের ঘাটতির কারণে মুনাফা ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সেখানে আইনের নীতি প্রয়োগের ঘাটতি এবং নিয়ন্ত্রণ ও তদারকিতে ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। ফলে দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নেই”।
বেসরকারি চিকিৎসা খাতের অনিয়মের বেশ কয়েকটি দিক তুলে ধরা হয় টিআইবির পক্ষ থেকে-
ক) স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নেই ,খ) নিয়মিত তদারকি না থাকায় সেবার অতিরিক্ত মূল্য, চিকিৎসার নামে সম্পূর্ণ মুনাফা-ভিত্তিক বাণিজ্য হচ্ছে। গ) বর্জ্য ব্যবস্থাপনাও সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত করা হয়না, ঘ) প্রতারণা-নির্ভর হচ্ছে অর্থাৎ অনেক সময় চিকিৎসার নামে প্রয়োজনের তুলনায় আরও বেশি ব্যয়-সম্মত চিকিৎসা রোগীদের অফার করা হচ্ছে। ঙ)কোনও কোনও অভিযোগের ক্ষেত্রে অভিযোগ দাখিলসহ নিরসন প্রক্রিয়ার কোনও সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থাপনা নেই।
মি: ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এই খাতেও সরকারি খাতের চিকিৎসকদের ওপর নির্ভরশীলতা রয়েছে এবং এ কারণে দুটি ক্ষেত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সরকারি সেবা-খাতেও পর্যাপ্ত সেবা তারা দিতে পারছেন না আবার বেসরকারি খাতে যখন আসছেন মানসম্পন্ন চিকিৎসা দিতে পারছেননা”।
স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর হতে চললেও, স্বাস্থ্য খাতের এরকম অবস্থার কারণ কি?
চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন( বিএমএ) সাবেক সভাপতি ও জাতীয় স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের আহবায়ক ড. রশিদ-ই মাহবুব এজন্য স্বাস্থ্যখাতে দরকারি সংস্কার না হওয়াকে দায়ী করছেন।
তিনি বলছেন, ”সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, এটা বিবর্তিত হয়েছে, কিন্তু সংস্কার হয়নি। জনসংখ্যার হিসাবে আমাদের যে চাহিদা, তার জন্য যে সংস্কার দরকার, সেই সংস্কার না করেই এটা বিবর্তিত হয়ে আসছে। সেটাও হচ্ছে যার যার মর্জি মতো।”
”দ্বিতীয় হলো, এটার অর্থায়ন নিয়ে একটা সমস্যা আছে। সরকারি অর্থায়ন যেটা দেয়া হয়, সেটা প্রতিনিয়ত কমছে। কমতে কমতে এখন যেই পর্যায়ে চলে আসছে, তাতে বেতন ভাতা হয় আর কিছু অবকাঠামো তৈরি, যন্ত্রপাতি কেনার খরচ হয়। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় যতটা অবকাঠামো তৈরি হয়, যন্ত্রপাতি কেনায় যতটা দুবৃত্তায়ন হয়, কিন্তু জনগণের চিকিৎসার ট্রেন্ডটা কি হবে, সেটা ঠিক করা হয়নি।”
”যেহেতু জন চাহিদা আছে, তখন একটা বিকল্প বেসরকারি ব্যবস্থাপনা চলে আসছে। কিন্তু চিকিৎসার নামে বেশিরভাগই সেখানে অর্থ উপার্জনের কাজটা হয়।”
তিনি জানান, ২০০০ সালে ও ২০১১ সালে দুইটি স্বাস্থ্য নীতি ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর তেমন একটা বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
”এখানে রাজনীতির একটা জায়গা আছে, আমলাদের একটা ব্যাপার আছে আর আছে কর্মী বাহিনী। তিনটার মধ্যে সমন্বয়টা হয়নি। সেই সমন্বয় না হওয়ায় এই গাড়ি চলে না। যে যার মতো কাজ করছে আর এখন এটা স্থবির হয়ে পড়ে আছে।” বলছেন ড. মাহবুব।
তিনি বলছেন, সংস্কার এবং জবাবদিহিতা আগে নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে কর্মীদের ব্যবস্থাপনার বিষয়টিও পরিকল্পনার মধ্যে আনতে হবে।
সরকারী প্রচেষ্টা :
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামলাতে সম্প্রতি জরুরি ভিত্তিতে দুই হাজার চিকিৎসক ও পাঁচ হাজার সেবিকা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আইসিইউ ও হাসপাতাল শয্যা বাড়ানোর কাজও শুরু হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনো ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সরকারি-বেসরকারি চিকিৎসার বেহাল চিত্র খুব একটা পাল্টায়নি।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল বিভাগের পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলছেন, এসব সমস্যা তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।