সৈয়দ আবুল মকসুদের দ্বিতীয় জানাজা জাতীয় প্রেসক্লাবে

দেশের খ্যাতিমান কলামিস্ট, গবেষক, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদের মরদেহ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হবে। আজ (বুধবার) দুপুর আড়াইটায় স্কয়ার হাসপাতাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবে নেওয়া হবে তার মরদেহ।

সেখানে সাংবাদিকরা শ্রদ্ধা জানানোর পর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সবার শ্রদ্ধার জন্য মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। সেখানে নাগরিকদের শ্রদ্ধার পর বাদ আসর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান আবুল মকসুদ। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া সমাজের বিশিষ্টজনরাও তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন।

শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যু আমাদের সাহিত্য অঙ্গনের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। দেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। রাষ্ট্রপতি সৈয়দ আবুল মকসুদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

অপর এক বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দ আবুল মকসুদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্ম ১৯৪৬ সালের ২৩ অক্টোবর। তিনি তার গবেষণাধর্মী প্রবন্ধের জন্য সুপরিচিত। তার প্রবন্ধসমূহ দেশের রাজনীতি, সমাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়। তিনি বিখ্যাত সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদদের জীবনী ও কর্ম নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধ লিখেছেন। পাশাপাশি কাব্যচর্চাও করেছেন। তার রচিত বইয়ের সংখ্যা চল্লিশের ওপর। জার্নাল অব জার্মানি তার লেখা ভ্রমণকাহিনী। বাংলা সাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।