নিজ গ্রামে শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সিক্ত সাহাবুদ্দীন আহমদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা তার নিজ গ্রাম নেত্রকোণার কেন্দুয়ার পেমই গ্রামে সম্পন্ন হয়েছে। তার মরদেহ দুপুর তিনটার দিকে তার গ্রামের বাড়ীতে নেওয়া হয়। হেলিকপ্টার নেত্রকোণার মাটি স্পর্শ করা আগেই সেখানে ছুটে যান হাজারও মানুষ।

চিরচেনা নেত্রকোণার মাটি আলো বাতাস শেষ বারের মতো ছুঁয়ে যায় নিরপেক্ষ, বিচক্ষণ ও ন্যায়পরায়ণ বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ এর নিথর দেহ। বিকেল চারটা ২০ মিনিটে কেন্দুয়ার পেমই গ্রামে প্রথম জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়।

এর পরপরই মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রোববার সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে বনানী কবরস্থানে তার দাফন হবে।

১৯৩০ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাহাবুদ্দীন আহমদ। তিনি ১৯৪৫ সালে নান্দাইলের চন্ডীপাশা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৪৮ সালে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫১ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৯০ সালে সর্বসম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ।