সরকার সিদ্ধান্ত নিলে হাসিনাকে দেশে ফেরত চাইবো

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভারত থেকে ফেরত আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন এ কথা বলেন।

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক মামলা। যদি দেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়, তাকে (শেখ হাসিনা) দেশে ফেরত পাঠাতে (দিল্লিকে) অনুরোধ করা হবে।’

এটা ‘ভারত সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে’ মন্তব্য করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘(ভারত) বিষয়টি জানে। আমরা নিশ্চিত তারা (ভারত) এই বিষয়ে যত্নবান হবে।’ তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

একই বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এই বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

এদিকে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক চায় বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।

এ ছাড়া বাংলাদেশের সম্ভাব্য নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচনের সময়রেখা (টাইমলাইন) সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ আরও স্পষ্ট হবে।

তিনি বলেন, এখন উপদেষ্টা পরিষদের সবাই দেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ভীষণ ব্যস্ত। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কারও রাজনৈতিক কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা নেই বলে উল্লেখ করেন তৌহিদ হোসেন। অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তারা কিছু সংস্কার কাজ করার চেষ্টা করছেন।

তার মতে, ‘আমাদের প্রক্রিয়া (সিস্টেম) ভয়াবহ ধরনের দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। সেগুলোকে পুনরায় চালু করতে হবে।’

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গেও কথা বলেছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যে অনেক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এখন আর রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ভারতসহ অন্য দেশগুলোকে মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।