বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ খাত হলো আবাসন শিল্প। আবাসন প্রকল্পের সঙ্গে বর্তমানে দেশে দুই থেকে আড়াইশ কোম্পানী জড়িত। বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা বিপুল সম্ভাবনার আবাসন শিল্প খাত জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপকভাাবে অবদান রাখছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটিতে ‘জরুরি’ ছাড়া অন্যসব শিল্পকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। গত ৩০ মে সাধারণ ছুটি শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির অবনতির কারণে ব্যবসাবাণিজ্যে এখনো স্থবিরতা বিরাজ করছে। আর করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় সহসাই ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে না আসার শঙ্কা বাড়ছে। এতে অন্যসব ব্যবসার পাশাপাশি আবাসন খাত এবং নির্মাণসংশ্লিষ্ট খাতগুলো অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়েছে।
আবাসন নির্মাতাদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) তথ্যানুযায়ী, প্রায় ৩০ হাজার ফ্ল্যাট অবিক্রীত রয়েছে। ফ্ল্যাট বিক্রি না হওয়ায় আবাসন খাতের নির্মাণকাজও এখন স্থবির। এর সঙ্গে সংযোগ শিল্প হিসেবে আরও অসংখ্য শিল্প-কারখানা রয়েছে, যেগুলো আবাসন ও নির্মাণ খাতের ওপর নির্ভরশীল। আবাসন খাত স্থবির হয়ে পড়ায় এসব শিল্পও মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। আবার করোনাভাইরাসে সৃষ্ট ক্ষতি মেটাতে সরকারি প্রণোদনা ঘোষণা করা হলেও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই ঋণ পাচ্ছে না। ফলে চলতি মূলধন সংকটে অধিকাংশ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে বেকার হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন এসব খাতের চাকরিজীবীরা।
বর্তমানে শুধু রিহ্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১ হাজার ১টি। আর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে নির্মাণ খাতে সারা দেশে ৩ হাজার ১৩২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর সঙ্গে সিমেন্ট, ইস্পাতের মতো ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান ছাড়াও রেডিমিক্স, পাথর, ব্রিকস, কেবল, লাইটসহ হালকা প্রকৌশল শিল্প, কাঠ, জিআই পাইপ, টাইলস-মার্বেল, স্যানিটারি, রংসহ আরও অসংখ্য শিল্প-কারখানা রয়েছে। নির্মাণসংশ্লিষ্ট এসব শিল্পে বিনিয়োগ রয়েছে লাখ কোটি টাকারও বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিবিএস ‘সার্ভে অন অকুপাইড রেসিডেন্সিয়াল হাউজ অ্যান্ড রিয়েল এস্টেট সার্ভিসেস-২০১৮’ শীর্ষক প্রকাশনা প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) আবাসন খাতের অবদান ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আবাসিক, বাণিজ্যিক ও নির্মাণ মিলিয়ে তিন উপখাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্য সংযোজন হয়।
বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমএ) প্রেসিডেন্ট ও ক্রাউন সিমেন্টের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আলমগীর কবির বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসার সক্ষমতা অনেকটাই কমে গেছে। চাহিদা কমায় লকডাউন তুলে দেওয়ার পরও সিমেন্টের ৬০ শতাংশ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে খাতটিতে অর্থের প্রবাহ ৬০ শতাংশ কমে গেছে। দেশে করোনা শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত সিমেন্ট খাতে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পূরণ করতে কত সময় লাগবে, আমরা এখনো তা বুঝতে পারছি না। এছাড়া করোনার সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে উৎপাদন সচল রাখায় এবং আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় কর্মীদের মনোবল ভেঙে গেছে। করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় স্বল্প সুদের প্রণোদনার ঋণ থেকে তারা গত দুই মাস ধরে কর্মীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য খরচ সামাল দিয়েছেন বলে জানান আলমগীর কবির। তিনি বলেন, ‘তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। খাতটির টিকে থাকা নির্ভর করবে সরকারের নীতির ওপর। এজন্য গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের পাশাপাশি সিমেন্টের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর কমাতে হবে।’
নির্মাণ খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রভাবে গত দুই মাসে যে ক্ষতি হয়েছে, তা মেটাতে সরকারি সহায়তা পেলেও অন্তত এক বছর লাগবে। আর করোনাভাইরাসের বর্তমানের প্রভাব যদি আরও দুই মাস থাকে তাহলে ক্ষতি মেটাতে অন্তত দুই বছর সময় প্রয়োজন হবে। তবে দেশে করোনার প্রভাব বাড়তে থাকায় স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থা ফিরে আসতে সময় লাগবে আরও বেশি। সে সময় পর্যন্ত নির্মাণসংশ্লিষ্ট শিল্পগুলোর একটি বড় অংশই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের রিয়েল এস্টেট এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে দেড় কোটিরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। করোনার প্রভাব বাড়তে থাকায় খাতগুলো অস্তিত্ব সংকটে পড়লে তাদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মহীন হয়ে পড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে রিয়েল এস্টেট খাত চাঙ্গা করতে সরকারকে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এ খাতটি চাঙ্গা হলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংযোগ শিল্পগুলোর ব্যবসায় গতি আসবে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সরকার ঘোষিত ঋণসুবিধা ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি কর সুবিধাও চেয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
নির্মাণ শিল্পে সবচেয়ে বেশি সংশ্লিষ্টতা সিমেন্ট ও ইস্পাত শিল্পের। খাতসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনার প্রভাবে শুধু গত দুই মাসে সিমেন্ট ও ইস্পাত শিল্প ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। সিভিল ওয়ার্কের রেডিমিক্স, পাথর, অটো ব্রিকস, সিমেন্ট ব্রিকস ও সিরামিক ব্রিকসেও শত শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর বাইরে নির্মাণ খাতের সংযোগ শিল্প হিসেবে বিভিন্ন ধরনের কেবল শিল্প, লাইটসহ হালকা প্রকৌশল শিল্প, কাঠ, ডোর লক, জিআই পাইপ, ইউপিভিসি পাইপ, টাইলস-মার্বেল, স্যানিটারি, রং, হার্ডওয়্যার, গ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম, লিফট, জেনারেটর, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, স্টেশনারিসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছে। করোনায় বন্ধ হয়ে গেছে রাজউক, হাউজিং, ডেসকোসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডও। নির্মাণ ও আবাসন খাতের উন্নয়ন কর্মকা- স্থবির হয়ে পড়ায় ইতিমধ্যেই শ্রমনির্ভর কার্যক্রমেও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। স্থানীয় শিল্পের পাশাপাশি আমদানি করা পণ্য নিয়েও বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে স্টিল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে বলেছেন, করোনা সংক্রমণের প্রথম দুই মাসে ইস্পাত খাতের ক্ষতি হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকা। এ অবস্থা ডিসেম্বর পর্যন্ত চলতে থাকলে লোকসানের পরিমাণ ১৭-১৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বিএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত বলেন, রিয়েল এস্টেট খাত চাঙ্গা হলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ইস্পাত, সিমেন্টসহ শত শত শিল্প খাত স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাঙ্গা হবে। তাই সরকারের উচিত হবে প্রথমেই রিয়েল এস্টেট খাতকে চাঙ্গা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তিনি বলেন, রিয়েল এস্টেট খাতের অবদান কিন্তু তৈরি পোশাক খাতের চেয়েও বেশি। এ খাতটির সঙ্গে ২০০ এর বেশি ধরনের শিল্প খাত জড়িয়ে আছে। কর্মসংস্থানও এসব খাতে বেশি। রিয়েল এস্টেট খাততে চাঙ্গা করতে হলে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে আরও প্রকল্প চালু করতে হবে। কিন্তু আমরা উল্টোটা দেখছি। আবার প্রণোদনা ঘোষণা করা হলেও এখনো ঋণ পাওয়া যায়নি। স্বল্প সুদের এই ঋণ পেলে কর্মীদের বেতনসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানো সহজ হতো।
তপন সেনগুপ্ত আরও বলেন, করোনার প্রভাবে দুই মাসের বেশি সময় ইস্পাতের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণে অন্তত আট মাস সময় লাগবে। ইস্পাত খাতে বড় ধরনের মূলধন বিনিয়োগের প্রয়োজন হয়। বিপরীতে মুনাফার পরিমাণ কম। করোনার প্রভাব যদি আরও দুই মাস থাকে, তাহলে খাতটির জন্য বড় ধরনের সংকট তৈরি হবে। ইস্পাতের কাঁচামাল যেহেতু পুরোটাই আমদানিনির্ভর, তাই সরকারের উচিত হবে ইস্পাতের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর আগামী ছয় মাসের জন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া। অগ্রিম আয়কর বাবদ এনবিআরের কাছে আমাদের বিপুল পরিমাণ পাওনা আটকে আছে, তা এই দুঃসময়ে ফেরত পেলে কোম্পানিগুলোর উপকার হতো।
সাধারণ ছুটি শেষ হলেও করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে নিয়োজিত কর্মীরা ভীতির মধ্যে রয়েছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্বে কাজ করলেও সংক্রমণের ভয়ে মনোবল হারাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, যা স্বাভাবিক উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। অধিকাংশ কোম্পানি উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করলেও সক্ষমতার অর্ধেকেই অব্যবহৃত রয়েছে। এতে কোম্পানিগুলোর ব্যয়ও বাড়ছে। দুই মাস বন্ধ থাকার পর উৎপাদনে গেলেও করোনার প্রভাবে বিক্রি না থাকায় কোম্পানিগুলোর লোকসান আরও বাড়ছে।
রিহ্যাব জানিয়েছে, প্রতি বছর তাদের সদস্যরা ১৫ থেকে ১৭ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করে থাকে। করোনার কারণে নির্মিত এসব ফ্ল্যাটের বড় অংশই অবিক্রীত থেকে যাবে। শুধু তাই নয়, নতুন করে সব ধরনের নির্মাণ প্রকল্পও বন্ধ রয়েছে। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, এরই মধ্যে সরকার বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কম অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলো বাদ দিয়েছে। করোনার প্রভাবে বিদেশিরা উপস্থিত না থাকায় মেগা প্রকল্পগুলোর কার্যক্রমও ধীর হয়ে পড়েছে। এর ফলে নির্মাণশিল্পের সঙ্গে ২১১টি লিংকেজ শিল্প খাতের উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধ থাকায় তারা বড় ধরনের সংকটের মুখে পড়েছে।
সরকার করোনার প্রভাবের ক্ষতি মেটাতে ইতিমধ্যে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এতে বৃহৎ শিল্পের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্যও স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ঘোষণার দুই মাস পার হলেও অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানই ঋণসুবিধা পায়নি।
বাংলাদেশ অটো ব্রিকস ম্যানুফেকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সভাপতি ও নুর ইকো ব্রিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান সিরাজ বলেন, একটি ছোট আকারের অটো ব্রিকস কারখানা করতে গেলেও অন্তত ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকা লাগে। এটি বন্ধ করতে হলে ৩০ লাখ টাকা খরচ হয়। সবমিলিয়ে শুধু অটো ব্রিকসে ৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। গত আড়াই মাসে কোনো বিক্রি না থাকলেও ঋণের সুদ, কর্মীদের বেতন ও বিভিন্ন ধরনের বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। এখন পরিস্থিতি এতটাই বাজে অবস্থায় গেছে যে, আমাদের কারখানা বন্ধ করে দিতে হবে। বন্ধ কারখানা চালু করতেও ১৫ থেকে ২০ দিন সময়ের প্রয়োজন হয়। আমরা সরকারের কাছে স্বল্প সুদের ঋণ চেয়েছি। তবে সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করলেও আমরা ব্যাংকের কাছে কোনো সাড়া পাইনি।
বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মো. সামসুজ্জামান বলেন, বছরে রং শিল্পের টার্নওভার প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। করোনায় লকডাউনের কারণে গত তিন মাসে কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় উৎপাদকদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বকেয়া অর্থ আটকে গেছে। এ সময়ে প্রায় ২০ হাজার রঙের ডিলারও সংকটে পড়েছেন। তবে কাজ না থাকায় সবচেয়ে বেশি সংকটে রয়েছেন পেইন্টাররা।
বাংলাদেশ স্যানিটারি অ্যান্ড টাইলস মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও আলী বাবা ডোর অ্যান্ড ফার্নিচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, একসময়ে প্রস্তুতকৃত দরজা আমদানি হতো। এখন আমরা স্থানীয়ভাবে ৭০ শতাংশের জোগান দিচ্ছি। কিন্তু করোনার প্রভাবে দুই মাসের বেশি সময় সব শো-রুম বন্ধ ছিল। বিক্রি না থাকলেও কারখানার খরচ, শো-রুম ভাড়া ও কর্মীদের বেতন দিয়েছি। কিন্তু এখন শো-রুম খুললেও বিক্রি নেই। করোনার কারণে মানুষের আয় কমে গেছে। এখন জীবন বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, সরকার বিভিন্ন ধরনের শিল্পের জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করলেও আমরা কিন্তু কোনো ঋণ পাইনি। ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানায়।