স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, আগামী রোববার (১৯ ডিসেম্বর) থেকে ষাটোর্ধ্বদের করোনাভাইরাসের বুস্টার ডোজ দেয়া হবে।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া এলাকায় শুভ্র সেন্টারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমে সম্মুখসারির ডাক্তার, নার্স, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী এবং বয়স্কদের এই বুস্টার ডোজের আওতায় আনা হবে। দেশের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে এবং প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। ১২ কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনা হবে। তবে ইতোমধ্যে ৩০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বুস্টার ডোজ দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। সুরক্ষা অ্যাপ আপডেটের কার্যক্রম চলছে। বুস্টার ডোজ দেওয়ার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। দেশে ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই। দেশে এখন সাত লাক্ষ ফাইজারের ভ্যাকসিন হাতে আছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি ভ্যাকসিন আসবে। সব মিলিয়ে দেশে এখন পৌনে পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক আবদুল লতিফ, পৌর মেয়র রমজান আলী, সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ফটো প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) কেবিনেট মিটিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, শুরুতে ষাটোর্ধ্ব ও সম্মুখসারির যোদ্ধাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরুর পরিকল্পনা আছে সরকারের।
জাহিদ মালেক বলেন, আরও এক হাজার টিকার বুথ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি। বর্তমানে আড়াই হাজার আছে।