
রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। দ্রুতই সভা-সমাবেশে দেখা যেতে পারে তাকে। দেশকে গণতন্ত্রে ফেরাতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব বেশি প্রয়োজন বলে মনে করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা। তারা বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও দেশ পরিচালনার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে লাভবান হবে দেশ ও দল।
উন্নত চিকিৎসা শেষে গত মঙ্গলবার লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির শীর্ষ নেতা বেগম খালেদা জিয়া। গুলশানের বাসা ফিরোজায় প্রবেশ করেন পায়ে হেঁটেই।
লন্ডনে ৪ মাস পরিবারের প্রিয় মুখগুলোর সান্নিধ্যে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে আগের চেয়ে সুস্থ বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসক।
পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থান উন্নতিতে নতুন করে উজ্জীবিত দলের নেতারা। তাদের প্রত্যাশা, এবার রাজনীতিতেও সক্রিয় হবেন বিএনপি প্রধান।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে গণতন্ত্রের সংকটে আছে দেশ। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্রের তিনি একজন অগ্রদূত। বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য প্রয়োজন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব।’
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, প্রতিকূলতায় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা বর্তমান বাস্তবতায় বিএনপিকে পথ দেখাবে বলে মনে করেন দলের নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দলের এবং বিভিন্ন দিবসের আচার অনুষ্ঠানে হয়ত শারীরিকভাবে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না। সামনে ওনার শারীরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে অবশ্যই যথাযথভাবে উপস্থিত থেকে আমাদেরকে নেতৃত্ব দেবেন। এটাই আমরা আশা করি। কিন্তু এটা নির্ভর করবে শারীরিক সক্ষমতার ওপরে। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, গণতন্ত্র উত্তরণ এবং গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় তিনি সব সময় আমাদের নেতৃত্বে থাকবেন।’
বিএনপি নেতারা মনে করেন, সভা-সমাবেশে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত করবে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে শারীরিক সুস্থতার ওপর।